এই প্রথম গ্রহাণুতে বোম মারল মানুষ
জাপানি মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সফল হয়েছে তাদের গোটা পরিকল্পনাটি। বিস্ফোরণের ছবি তুলেছে ছোট ক্যামেরাটি। আপাতত ক্যামেরাটি থেকে ছবিগুলি মূল যানে ট্রান্সফার হচ্ছে। এর পর সেগুলি পৃথিবীতে পাঠাবে হায়াবুসা ২।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিরোধীদের শায়েস্তা করতে দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতার বোম মারার নিদান দেওয়া আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে বোম যদি মারা হয় পৃথিবীর বাইরে কোনো গ্রহাণুতে। না, কোনও নেতার কথায় না, গবেষণার স্বার্থেই রিউগু নামের একটি গ্রহাণুতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন জাপানি মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। বিস্ফোরণে সেই গ্রহাণুর বুকে তৈরি হয়েছে ১০ মিটার চওড়া একটা গর্ত।
মহাবিশ্বের সব থেকে পুরনো জ্যোতিষ্কগুলির অন্যতম এই গ্রহাণু রিউগু। প্রায় ১ কিলোমিটার ব্যাসের রিউগু গ্রহাণু হিসাবে বেশ বিরল। স্ফটিক আকৃতি গ্রহাণুটি তৈরি পাথরখণ্ড ও ধুলো দিয়ে। সেখানেই ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি রহস্য জানতে যান পাঠিয়েছে জাপানিরা। হায়াবুসা - ২ নামে এই এই যানে রয়েছে একটি ছোট্ট বোমা। যাতে ভরা রয়েছে TNT-র মতো বিস্ফোরক। মূল যান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সেই বিস্ফোরকটি আছড়ে পড়ার কথা ছিল গ্রহাণুর বুকে। ঠিক তখনই মূল যান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আরেকটি ক্যামেরার ছবি তোলার কথা ছিল গোটা ঘটনার। বিস্ফোরণের অভিঘাত থেকে বাঁচতে বিস্ফোরণের সময় হায়াবুসা-২-কে গ্রহাণুর বিপরীত দিকে পাঠিয়ে দেন বিজ্ঞানীরা।
জাপানি মহাকাশ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, সফল হয়েছে তাদের গোটা পরিকল্পনাটি। বিস্ফোরণের ছবি তুলেছে ছোট ক্যামেরাটি। আপাতত ক্যামেরাটি থেকে ছবিগুলি মূল যানে ট্রান্সফার হচ্ছে। এর পর সেগুলি পৃথিবীতে পাঠাবে হায়াবুসা ২। এই প্রথম কোনও গ্রহাণুতে বিস্ফোরণ ঘটাল মানুষ।
ভারতের ASAT পরীক্ষায় ঝুঁকি নেই কারও, নাসার মুখে ঝামা ঘষে জানিয়ে দিল পেন্টাগন
পৃথিবীর কক্ষের সঙ্গে বেশ মিলে যায় রিউগুর কক্ষপথ। তাই একে নিয়ার আর্থ অ্যাস্টরয়েডের শ্রেণিতে রেখেছেন বিজ্ঞানীরা। ৮৫০ মিটার ব্যাসের গ্রহাণুটি প্রতি ৪৭৪ দিনে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে।
গত বছর জুনে গ্রহাণুটির কাছে পৌঁছয় হায়াবুসা ২। তার পর থেকে সেটির পৃষ্ঠে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছে সে। রিউগুর খবর নেওয়ার জন্য ২০১৪ সালে যানটিকে মহাকাশে পাঠিয়ে রেখেছিল জাপান।