চাই না ঋণদাতাদের শর্তাধীন আর্থিক ত্রাণ, 'না' ভোটের পক্ষে রায় গ্রিসের
ঋণদাতাদের শর্ত মেনে আর্থিক ত্রাণ নেওয়ার বিপক্ষে রায় দিল গ্রিস। নিজেদের শর্তে ঋণদাতাদের সঙ্গে নতুন রফাই চাইলেন গ্রিসের মানুষ। গণভোটে অধিকাংশ মানুষের রায় গেল না এর পক্ষে। আন্তর্জাতির ঋণদাতাদের শর্ত মেনে আর্থিক ত্রাণ প্যাকেজ, নাকি নিজেদের শর্তে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা সুযোগ? কোনটা সঠিক ?
ব্যুরো: ঋণদাতাদের শর্ত মেনে আর্থিক ত্রাণ নেওয়ার বিপক্ষে রায় দিল গ্রিস। নিজেদের শর্তে ঋণদাতাদের সঙ্গে নতুন রফাই চাইলেন গ্রিসের মানুষ। গণভোটে অধিকাংশ মানুষের রায় গেল না এর পক্ষে। আন্তর্জাতির ঋণদাতাদের শর্ত মেনে আর্থিক ত্রাণ প্যাকেজ, নাকি নিজেদের শর্তে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা সুযোগ? কোনটা সঠিক ?
এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে রবিবার ঐতিহাসিক গণভোটে সামিল হয় গ্রিস।
ভোটের ফলাফলে দেখাযায় হ্যাঁ ভোটকে পিছনে ফেলে প্রায় ৬১ শতাংশ না এর পক্ষে রায় দিয়েছেন।
মাত্র ৩৯ শতাংশ বলেছেন আইএমএফের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার শর্ত মেনে নিক সরকার।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস বলেছেন এই রায় গণতন্ত্রের জয়। প্রথম থেকেই না ভোটের পক্ষে সওয়াল করে গ্রিসের সরিজা সরকার।
হ্যাঁ ভোটের সমর্থকদের মতে এর ফলে ইউরোপিয় ইউনিয়নে অনিশ্চিত হয়ে গেল গ্রিসের ভবিষ্যত। যদিও তা মানতে নারাজ গ্রিস সরকার। তাদের দাবি এভাবে ১৯টি দেশের জোট থেকে তাদের বাদ দেওয়া যাবে না।
গ্রিসের চলতি আর্থিক সমস্যার শুরু গত সোমবার, ইউরোপিয়ন সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক গ্রিসকে ইমার্জেন্সি ফান্ডিং দিতে অস্বীকার করার পর।
এর পরেই মঙ্গলবার ঋণ খেলাপি হিসেবে আইএমএফের খাতায় নাম ওঠে গ্রিসের। মঙ্গলবারের সময়সীমার মধ্যে আইএমএফের থেকে নেওয়া ১৬০ কোটি ডলার ফেরত দিতে পারেনি গ্রিস।
নগদের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় গ্রিসের ব্যাঙ্কগুলি। এটিএম থেকেও ৬০ ইউরোর বেশি নগদ তোলার উপর জারি হয় নিষেধাজ্ঞা।
এই অবস্থায় দুটি পথ খোলা ছিল গ্রিসের সামনে।
প্রথম রাস্তা, কৃচ্ছ্বসাধনের পথে হেটে বেল আটউ প্যাকেজ নেওয়া । অর্থাত আইএমএফের শর্ত মেনে খরচ কমিয়ে, কর বাড়িয়ে আর্থিক ত্রাণ নেওয়া।
আর দ্বিতীয় পথটি ছিল নিজের মুদ্রা ব্যবস্থায় ফিরে গিয়ে ঋণদাতাদের সঙ্গে রফায় আসা।
বাস্তব বলছে গত পাঁচ বছেন আন্তর্জাতিক শর্ত মেনে ব্যায় সঙ্কোতের পথে হেঁটে আদৌ সুদিন দেখেনি গ্রিস। উল্টে বেড়েছে সঙ্কট।
আর এপ্রশ্নে রবিবার যখন গণভোট হল তখন নিজেদের শর্তে চলার পক্ষেই রায় দিলেন গ্রিসের জনগণ।
তাহলে কি সব সমস্যা শেষ? অর্থনীতির বিশেষজ্ঞদের মতে এর পরেও গ্রিক মুদ্রার অবমূল্যায়ণ, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা লাটে ওঠার মতো হাজারও হার্ডেল রয়ে যাচ্ছে গ্রিসের সামনে।
গ্রিসের সরকার জানিয়েছে মঙ্গলবার থেকে খুলে যাবে সে দেশের ব্যাঙ্কগুলি। কিন্তু ব্যাঙ্কে নগদ আসবে কোথা থেকে? ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন কি আদৌ সম্মত হবে সাহায্যের জন্য। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নে গ্রিসের ভবিষ্যত নিয়ে সোমবারই আলোচনায় বসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওঁলাদ, ও জার্মান চ্যাঞ্জেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল। মঙ্গলবার গ্রিস নিয়ে সামিটে বসছেন ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের নেতারা।