জল দিলেই মিলবে ইলিশ, মমতাকে আশ্বাস হাসিনার
তিস্তার জল দিলেই পদ্মার ইলিশ পাবে রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে আজ একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও আশ্বাস, তিস্তা চুক্তি হবে। কিন্তু কবে হবে তার কোনও সময়সীমা অবশ্য দিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। .তাঁর আপত্তিতে দু হাজার এগারোয় আটকে গিয়েছিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা জলবন্টন চুক্তি। সেই তিনিই এবার চুক্তির পক্ষপাতী।
ঢাকা: তিস্তার জল দিলেই পদ্মার ইলিশ পাবে রাজ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে আজ একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও আশ্বাস, তিস্তা চুক্তি হবে। কিন্তু কবে হবে তার কোনও সময়সীমা অবশ্য দিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। .তাঁর আপত্তিতে দু হাজার এগারোয় আটকে গিয়েছিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তা জলবন্টন চুক্তি। সেই তিনিই এবার চুক্তির পক্ষপাতী।
সুর নরমের ইঙ্গিত অবশ্য আগেই দিয়েছিলেন। শনিবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই তোলেন তিস্তা চুক্তির কথা। তাঁর আশ্বাস, চুক্তি হবে।
দু তরফের প্রতিনিধিদলের বৈঠক ঘণ্টা দেড়েক চলার পরেও, ফের একান্তে প্রায় আধঘণ্টা কথা বলেন দুই নেত্রী। হাসিনার উষ্ণ অভ্যর্থনা, আপনি এসেছেন। খুবই ভাল লাগছে। প্রত্যুত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসতে পেরে আমারও ভাল লাগছে। দুই দেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া গঙ্গা ও যমুনা নদীর মতোই দুই বাংলার সম্পর্কও নিবিড়।
উপহার হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন একটি নৌকো দেন শেখ হাসিনা। তবে দেওয়ার সময় তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য ছিল, নৌকো দিলাম, পানি কই?
মমতা বলেন, 'আমার দিক থেকে স্থল সীমান্ত চুক্তি নিয়ে প্রবলেম সলভ করে দিয়েছি।...তিস্তাতেও আস্থা রাখুন।' কথায় কথায় ইলিশ রফতানি প্রসঙ্গও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'ইলিশ কবে থেকে পাব?'
জবাব তৈরি ছিল শেখ হাসিনারও। সঙ্গে সঙ্গে সহাস্য উত্তর, 'পানি দিন, ইলিশও পেয়ে যাবেন।'
মনে করা হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতির পর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসন্ন বাংলাদেশ সফরেই বাস্তবায়িত হতে পারে তিস্তা চুক্তি।