আদালত অবমাননা, গিলানির সাজা ঘোষণা আজ
পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে আজ। গিলানির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের সারবত্তা মেনে নিয়ে চার্জ গঠন করেছিল পাক সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার তাঁর সাজা ঘোষণা করবে সে দেশের শীর্ষ আদালত।
পাক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে আজ। গিলানির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের সারবত্তা মেনে নিয়ে চার্জ গঠন করেছিল পাক সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার তাঁর সাজা ঘোষণা করবে সে দেশের শীর্ষ আদালত। সাজা ঘোষণার দিন আদালতে হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন গিলানি।
বুধবার মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকের পর তিনি বলেন, ``পাক সরকার সর্বদা দেশের আইনকে সম্মান দিয়েছে। তাই সব কিছু আইন মোতাবেকই হবে।`` আদালত অবমাননায় দোষী সাব্যস্ত গিলানির মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার দিন পিছিয়ে বৃহস্পতিবার করে পাক সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবারের শুনানিতে গিলানির আইনজীবীকে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি নাসির উল মুলক বলেন, ``সাজা ঘোষণার দিন আদালতে উপস্থিত থাকতেই হবে পাক প্রধানমন্ত্রীকে।`` আদালত অবমাননার দায়ে ৬ মাস পর্যন্ত হাজতবাসের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়াতে পারেন গিলানি।
প্রসঙ্গত, পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাগুলি ফের চালু করে সুইস ব্যাঙ্ককে চিঠি দিয়ে যাবতীয় দুর্নীতির তথ্য আনাতে গিলানিকে নির্দেশ দিয়েছিল পাক সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়ে গিলানি জানান, পাক সংবিধানে প্রেসিডেন্টের বিশেষ রক্ষাকবচ রয়েছে। কিন্তু গিলানির এই বক্তব্যে একেবারেই সন্তুষ্ট হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট।
২০০৯-এর ডিসেম্বর মাস থেকেই জারদারির বিরুদ্ধে নতুন করে দুর্নীতির মামলা শুরুর জন্য পাক সরকারকে চাপ দিচ্ছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, সেই চাপকে কোন রকম আমল দিতে রাজি ছিল না ক্ষমতাসীন পিপিপি (পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি)। দলের যুক্তি ছিল, নতুন করে মামলা শুরু করলে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা খর্ব করার মতো সাংবিধানিক সংশোধনীর পথে হাঁটতে শুরু করার চেষ্টা করবে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত পিপিপি প্রধান জারদারির সেই দুর্নীতি মামলাই বিপাকে ফেলল গিলানি প্রশাসনকে।