Vladimir Putin to Boris Johnson: 'একটা মিসাইল দিয়ে তোমাকে উড়িয়ে দিতে মাত্র ১ মিনিট সময় লাগবে আমার'! এই হুমকি কে দিলেন কাকে?
UK Prime Minister Boris Johnson threatened by Russian President Vladimir Putin: ক্রমশ বোঝা যাচ্ছে, রাশিয়ার ইউক্রেন-হামলাকালে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে এসেছে ঠেকেছিল। এবার পুতিনের সঙ্গে কথাবার্তার ক্ষেত্রে নিজের বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করলেন বরিস জনসন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ক্রমশ বোঝা যাচ্ছে, রাশিয়ার ইউক্রেন-হামলাকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে অন্য রাষ্ট্রনেতাদের সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে এসেছে ঠেকেছিল। এবার পুতিনের সঙ্গে কথাবার্তার ক্ষেত্রে নিজের বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা ব্যক্ত করলেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
আরও পড়ুন: Pakistan Crisis: পাশেই পাকসেনার হেডকোয়ার্টার, এদিকে অস্ত্র হাতে ১২ জন পোলট্রি ফার্মে! কেন?
ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন বরিস জনসন। বরিস বলেছেন, পুতিন তাঁকে খুন করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন! তাঁর উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিলেন পুতিন।
কেন এমন করলেন পুতিন?
জানা গিয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরে এক ফোনালাপ হয় দুই রাষ্ট্রনেতার। তখনই পুতিন বরিসকে এই হুমকি দেন। যা নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্বে।
আরও পড়ুন: Iceberg Broken in Antarctica: ভয়ংকর মহাপ্লাবন আসছে? ভেঙে পড়ল লন্ডনের সমান আকারের বিশাল আইসবার্গ...
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর পরপরই একদিন পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে দীর্ঘ সময় ধরে কথা হয় ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই ফোনালাপকে বিস্ময়কর বলে আখ্যা দিয়েছেন বরিস জনসন। জনসন বলেছেন, তিনি পুতিনকে বলেছিলেন, ইউক্রেন রাশিয়ার হস্তক্ষেপের ঘটনা পুরোপুরি বিপর্যয় ডেকে আনবে। এর পরপরই পুতিন তাঁর উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দেন। পুতিন বলেন, 'এটা করতে মাত্র এক মিনিট সময় লাগবে।'
ওই ফোনালাপে পুতিনকে ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে যাওয়া থেকে সরে আসতে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে জনিয়েছেন বরিস জনসন। তিনি পুতিনকে সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রাখলে পশ্চিমি দেশগুলি ক্রমশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকবে। এদিকে রাশিয়ার সীমান্তে আরও সৈন্য মোতায়েন করবে পশ্চিমি সামরিক জোট ন্যাটো-ও। মূলত ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের সম্ভাবনায় ঘিরেই বিরক্ত ছিলেন পুতিন। ফোনালাপে পুতিনকে তাই জনসন বলেছিলেন, অদূর ভবিষ্যতেও ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেবে না। এর মধ্য দিয়ে পুতিনকে আসলে যুদ্ধের পথ থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টাই করেছিলেন জনসন।
কিন্তু তাঁর কোনও চেষ্টাই সফল হয়নি। যুদ্ধও থামেনি। উল্টে, তিনি পুতিনের দুর্ব্যবহারের মুখোমুখি হয়েছেন। তাঁর (জনসন) উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি পান তিনি পুতিনের থেকে। এ বিষয়ে জনসন বলেন-- কথাবার্তার একটা পর্যায়ে এসে তিনি (পুতিন) আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন। পুতিন বলেছিলেন, 'বরিস, আমি তোমাকে আঘাত করতে চাই না। কিন্তু মাত্র একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই এটা করা যাবে আর এটা করতে মাত্র ১ মিনিট সময় লাগবে আমার।'
পুতিনের এমন হুমকি অবশ্য দমাতে পারেনি জনসনকে। ক্ষমতায় থাকাকালে এবং ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পরেও বরিস একাধিকবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফর করেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রশংসাও করেছেন অকুণ্ঠ ভাবে।