ভূমিকম্পের পর নেপাল এখন কার্যত ধ্বংসপুরী, মৃতের সংখ্যা ১৯০০
ভূমিকম্পের পর নেপাল এখন কার্যত ধ্বংসপুরী। ইঁট-বালি-সিমেন্টের নিচে চলছে প্রাণের সন্ধান। শনিবারই বহু মানুষকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন। কিন্তু এখনও ভগ্নস্তুপের নিচে আটকে আছেন অনেকে। তাঁদের সন্ধানে ব্যস্ত প্রিয়জনেরা। মৃতের সংখ্যা ১৮০০ ছাড়াল।
ওয়েব ডেস্ক: ভূমিকম্পের পর নেপাল এখন কার্যত ধ্বংসপুরী। ইঁট-বালি-সিমেন্টের নিচে চলছে প্রাণের সন্ধান। শনিবারই বহু মানুষকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন। কিন্তু এখনও ভগ্নস্তুপের নিচে আটকে আছেন অনেকে। তাঁদের সন্ধানে ব্যস্ত প্রিয়জনেরা। মৃতের সংখ্যা ১৯০০ ছুঁল।
মাত্র কয়েক মিনিটের তাণ্ডব। আর তাতেই কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে নেপাল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। খোদ রাজধানী কাঠমাণ্ডুতেই ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। প্রাণহানীর পাশাপাশি খোঁজ মিলছে না বহু মানুষের। প্রশাসনের আশঙ্কা, হয়ত তাঁরা ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা কি আদৌ বেঁচে আছেন? সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না কেউই।
উদ্ধারকারী দলের সদস্য বললেন, আশা করছি ধ্বংসস্তুপের নিচে যাঁরা আটকে রয়েছেন, তাঁরা সকলেই জীবীত। শীঘ্রই তাঁরা উদ্ধার হবে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, তাঁরা যেন সুস্থ থাকেন।
শুধু উদ্ধারকারী দলেরই নয়। এই প্রার্থনা গোটা দেশবাসীর। ভূমিকম্পের রেশ কাটতেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ধ্বংসস্তুপ সরাতে আনা হয় ক্রেন। ইঁট-বালি-সিমেন্টের নিচে প্রাণের সন্ধানে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হয়। সরকারি উদ্ধার কর্মীদের সঙ্গে একাজে হাত লাগান স্থানীয়রাও। মাটির নিচ থেকে খুঁজে বের করেন তাঁদের প্রিয়জনদের। তবে সকলেই যে সফল, তা কিন্তু নয়। এখনও বহু মানুষই ভগ্নস্তুপের নিচে আটকে রয়েছে বলে অনুমান উদ্ধারকারী দলের। খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হয় মাউন্ট এভারেস্টে যাওয়া পর্বতারোহীদের সম্পর্কে। তবে দুর্যোগের ফলে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি নেপাল সরকার। এরই মধ্যে এভারেস্ট থেকে উনিশ কিলোমিটার দক্ষিণ-উত্তরে অবস্থিত মাকালু বেস ক্যাম্প থেকে এক পর্বতারোহী ভিডিও বার্তায় জানান যে বিপর্যয় কেটে গিয়েছে, তাঁরা সুস্থ। যদিও নেপালের পর্যটন মন্ত্রক জানিয়েছে যে তুসার ঝড়ে এভারেস্টের অন্য একটি বেস ক্যাম্প ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। বেশকয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে।