Durga Puja 2022: একুশেই কুমারটুলি থেকে এসেছিল প্রতিমা, কানাডার ডারহ্যামে বাইশে হইহই করে পুজো!
আগের বছর এক বিকেলে চায়ের আড্ডায় পুজো, কাশবন, ঢাকের বাদ্যি, পুজোর হুল্লোড় মনে আসতেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবার বিদেশের মাটিতেই হবে মায়ের আরাধনা। এবার দ্বিতীয়বার দুর্গাপুজোর আয়োজন করে ফেলল কানাডার ডারহ্যামের বাঙালিরা।
ঋতুপর্ণা ভট্টচার্য: নিজের চেনা গলি ধরে হেঁটে যাওয়া হয়নি বহুদিন। ল্যাপটপে রেকর্ড করে রাখা বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের স্তোত্রপাঠ যখন জানান দেয় পুজো আসছে। দেশ থেকে অনেক দূরে থাকা মানুষগুলোর পুজোয় বাড়ি ফেরার জন্যে শুরু হয় মন কেমন। তবে তাতে কি কোনভাবেই দেশে ফেরার উপায় নেই। সেই মন খারাপ থেকেই এবার দ্বিতীয়বার দুর্গাপুজোর আয়োজন করে ফেলল কানাডার ডারহ্যামের বাঙালিরা।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: বেসেলে বরাভয় দিতে তৈরি মা দুর্গা
আগের বছর এক বিকেলে চায়ের আড্ডায় পুজো, কাশবন, ঢাকের বাদ্যি, পুজোর হুল্লোড় মনে আসতেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবার বিদেশের মাটিতেই হবে মায়ের আরাধনা। যেমন কথা তেমনি কাজ। ধুমধাম করে সকলে মিলে একেবারে বাঙালি মতে সেড়ে ফেললেন পুজোর আয়োজন। সকলের এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হল আগমনী কালাচারাল অ্যাসোসিয়েশন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পুজোর আয়োজন করেছেন তাঁরা। কুমারটুলি থেকে প্রতিমার বায়না দেওয়া হয়েছিল গত বছর। সেই বিষয় বজায় রেখেই এবারও পুজো হয়েছে ওই প্রতিমাতেই। স্থানীয় পুরোহিত দিয়েই হয়েছে পুজো।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
তবে বাংলার মতো ৫ দিন ধরে নয়। এখানে পুজো হয় দুদিনের। ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর পুজো সেরেছেন ডারহামের বাঙালিরা। নিষ্ঠার সঙ্গেই হয়েছে সম্পন্ন হয়েছে দুর্গাপুজো। আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন কোথাও যাতে কোনও ফাঁক না থাকে। যতই হোক বাঙালি বলে কথা। তবে শুধু কুমারটুলির প্রতিমা, বিশুদ্ধ মন্ত্রোচ্চারণ করে পুজো নয়। পুজো উপলক্ষ্যে ছিল বিশেষ ভোজেরও আয়োজন। এমনকি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছিল পুজো উপলক্ষ্যে। সবটাই দক্ষ হাতে সামলেছে আগমনী কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের কথায় এই কদিন অনুভূতিটা একেবারে যেন কলকাতার বাড়ির পুজোর মতো।
এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা প্রিন্স বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "কোভিড বিধি না থাকোয় অনেকে এবার আমাদের পুজো দেখতে এসেছেন। আমরা পুজোর সময় কলকাতাকে ভীষণ মিস করি। আর তাই এই পুজোর আয়োজন। আশা করি আগামী দিনে আমাদের এই পুজো আরও অনেক বড় হবে।" পুজোর অন্যতম আর এক আয়োজক অস্মিতা। ভোগের পুরো দায়িত্বই ছিল তাঁর হাতে। ভোগের মেনুতে ছিল, খিচুরি, আলু ফুলকপির তরকারি, লাবরা ও চাটনি আরও কত কি! একেবারে পঞ্চব্যাঞ্জনের ব্যবস্থা যাকে বলে। পুজোর আয়োজনে ব্যস্ত থাকা তপশ্রী জানিয়েছেন, “ওই দেশের মতো অনেক কিছুই করে উঠতে পারিনি। কিন্তু মনের মধ্যে একটা জেদ ছিল পুজোটা আমরা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবই।“