আমেরিকাই উন্নয়নশীল দেশ! চিন-ভারতকে অনুদান না দেওয়ার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

বাণিজ্যিক যুদ্ধে বিশ্বের দুই সমৃদ্ধশালী দেশ চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসরে নামায় কার্যত পঙ্গু হতে চলেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গতি। পরস্পর আমদানি শুল্ক চাপিয়ে তাতিয়ে তুলছে নিত্য পণ্যসামগ্রীর মূল্য

Updated By: Sep 8, 2018, 06:17 PM IST
আমেরিকাই উন্নয়নশীল দেশ! চিন-ভারতকে অনুদান না দেওয়ার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: উন্নয়নশীল দেশের দোহাই দিয়ে চিন, ভারত সব ক্ষীর খেয়ে যাবে, আর তাদেরকেই অর্থ জোগান দেবে আমেরিকা! এ দিন এ বার শেষ। স্পষ্ট হুঁশিয়ারি এল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে। শুক্রবার, উত্তর ডাকোতার ফার্গো শহরে এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (হু)-কেও কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, অর্থনৈতিক দিক থেকে পোক্ত হলেও, চিনকে বেশি তোল্লাই দিচ্ছে হু। শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ হিসাবে চিনকে তৈরি করতে সাহায্য করছে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা।

আরও পড়ুন- 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তাঁর দেশও উন্নয়নশীল। কিন্তু ভারত-চিন এই ক্যাটাগরিতে থাকায় তারা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে। পাশপাশি, চিন এবং ভারতকে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি বা অনুদান দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিজের দেশের আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এ সব অনুদান বাতিল করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

আরও পড়ুন- বিশ্বের সবচেয়ে অলস দেশ কুয়েত, ভারত রয়েছে ৫১-তে

বাণিজ্যিক যুদ্ধে বিশ্বের দুই সমৃদ্ধশালী দেশ চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসরে নামায় কার্যত পঙ্গু হতে চলেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গতি। পরস্পর আমদানি শুল্ক চাপিয়ে তাতিয়ে তুলছে নিত্য পণ্যসামগ্রীর মূল্য। যার জেরে অন্যান্য দেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চিনের আম জনতাও ভুক্তভোগী হচ্ছেন বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। শি জিনপিংয়ের সরকার যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির ধার না ধেরে পাল্টা চাল দিতে শুরু করেছে, তাতেই চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে ৫০ হাজার কোটি ডলার চিন ব্যবসা করে নিয়ে যাবে, সেটা হতে দেওয়া যাবে না।

আরও পড়ুন- কুকুরের বদলি হিসাবে সেনায় যোগ দিল একদল বেজি

মার্কিন প্রেসিডেন্টের আক্ষেপ, “আমরা সারা পৃথিবীর নিরাপত্তার খেয়াল রাখি। ওরা (চিন-ভারত) কিছু না করেই অনুদান নিয়ে যাবে!” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক নিরাপত্তার কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, “বছরের পর বছর এই সব দেশের নিরাপত্তা দেখে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের নিরাপত্তার খরচও অতি সামান্য। বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা বাহিনী রয়েছে আমাদের। বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য পেলেও তারা সম্মান করতে জানে না।”   

.