মস্কো নয়, দিল্লিকেই অগ্রাধিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের?

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অনেকেই মনে করেছিলেন, ভারতের সঙ্গে এবার বোধহয় আমেরিকার সম্পর্কে ভাটা পড়তে চলেছে। যদিও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সেই মতকে পাত্তা দিতে একেবারেই রাজি ছিলেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্রাম্প জেতার পর যে রাষ্ট্রপ্রধানরা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এমনকি, নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মোদী বলেছিলেন, ট্রাম্প জমানায় ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কে আরও উন্নতি হতে চলেছে।

Updated By: Jan 25, 2017, 05:45 PM IST
মস্কো নয়, দিল্লিকেই অগ্রাধিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের?

ওয়েব ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর অনেকেই মনে করেছিলেন, ভারতের সঙ্গে এবার বোধহয় আমেরিকার সম্পর্কে ভাটা পড়তে চলেছে। যদিও, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সেই মতকে পাত্তা দিতে একেবারেই রাজি ছিলেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ট্রাম্প জেতার পর যে রাষ্ট্রপ্রধানরা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এমনকি, নিজের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মোদী বলেছিলেন, ট্রাম্প জমানায় ভারত ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কে আরও উন্নতি হতে চলেছে।

এদিকে, দিন কয়েক আগে চেয়ারে বসেই তাঁর জমানায়, কয়েকটি বিষয়ে আমেরিকার অবস্থান নিয়ে স্পষ্ট করে দেন ট্রাম্প। তারপরই, গত শনিবার পড়শি দেশ মেক্সিকো ও কানাডার রাষ্ট্রপ্রধানদের ফোন করেন তিনি। রবিবারও ইজরায়েল ও ইজিপ্টের রাষ্ট্রপ্রধানদের ফোন করে কুশল বিনিময় করেন নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মনে হচ্ছিল, বিতর্ককে সত্যি প্রমাণ করেই কী মোদী সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখবেন ট্রাম্প ও কোম্পানি। কিন্তু সে ভাবনা আর সত্যি হল না। গতকাল ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মোদীকে ফোন করেন ট্রাম্প।

আরও পড়ুন- পাকিস্তানকে চাপে ফেলে ট্রাম্পের আমেরিকায় আমন্ত্রিত 'মহান' মোদী

বলেন, 'ওয়াশিংটনের প্রকৃত বন্ধুই ভারত।' সেই সঙ্গে ভারতের পাশে থেকে সামরিক ক্ষেত্রে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তাঁর শাসনকালে দু'দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেও মনে করেন আমেরিকার রিপাবলিক্যান প্রেসিডেন্ট। বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয় তাঁদের দু'জনের মধ্যে। মোদীকে আমেরিকার যাওয়ার জন্যও আহ্বান জানান তিনি।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলে প্রশ্ন উঠছে, মস্কো, টোকিও বা বেজিংয়ের আগে কেনও দিল্লিতে ফোন করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? শুধুই কি সৌজন্য বিনিময়, নাকি এই ফোনের পিছনে রয়েছে অন্য কোনও উদ্দেশ্য?  

ট্রাম্পের ব্যাখ্যা, 'ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বরাবরই সুসম্পর্ক রয়েছে। এবার তাঁর জমানায় সেই সম্পর্ক যাতে আরও মজবুত থাকে তার জন্যই এই ফোন।' যদিও, ট্রাম্পের এই ব্যাখ্যায় তেমন সমর্থন নেই বিশেষজ্ঞ মহলের। তাই বোধহয় এই ফোন নিয়েই এখন চাপে ভারতের দুই পড়শি দেশ পাকিস্তান ও চিন।

.