১১ বছরের বালক মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে জীবন দান করলেন অনেকের
তাঁর জীবনের শেষ ইচ্ছা দেহের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করে দিয়ে যাবে। ১১ বছরের বালক লিয়াঙ ইয়োই ব্রেন টিউমারে ভুগছিলেন। সে ডাক্তারদেরকে অনুরোধ করেছিল জীবনের শেষ মুহূর্তে তার এই স্বপ্ন পূরণ করা হয়। গত বছর ৬ জুন মারা যায় লিয়াঙ। ছবিতে দেখা যায় ডাক্তাররা মাথানত করে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে লিয়াঙকে। মরদেহের ঠিক পিছনে তাঁর মা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। আর এই ছবি এখনও স্যোশাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: তাঁর জীবনের শেষ ইচ্ছা দেহের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দান করে দিয়ে যাবে। ১১ বছরের বালক লিয়াঙ ইয়োই ব্রেন টিউমারে ভুগছিলেন। সে ডাক্তারদেরকে অনুরোধ করেছিল জীবনের শেষ মুহূর্তে তার এই স্বপ্ন পূরণ করা হয়। গত বছর ৬ জুন মারা যায় লিয়াঙ। ছবিতে দেখা যায় ডাক্তাররা মাথানত করে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে লিয়াঙকে। মরদেহের ঠিক পিছনে তাঁর মা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। আর এই ছবি এখনও স্যোশাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে।
নয় বছর বয়সে লিয়াঙ ইয়োইর ব্রেন টিউমর ধরা পড়ে। চিনের শেনজহেন শহরে প্রাইমারি স্কুলে পড়ত লিয়াঙ। হঠাতই একদিন মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেদিন সে জানতে পারে আর বাঁচবে না। লিয়াঙ সিদ্ধান্ত নেন, তাঁর শরীরের সব অঙ্গপ্রতঙ্গ বন্ধুদের দান করে যাবে। সিসিটিভি নিউজ সূত্রে জানা যায়, লিয়াঙ চেয়েছিল, "এইভাবে আমি সবার শরীরে বেঁচে থাকব।"
তবে লিয়াঙের এমন সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছিল তাঁর পরিবার ও স্কুলে মাস্টারমশাইরা। লিয়াঙের এক মাস্টারমশাই জানান, সে স্কুলের পড়ার বইয়ে শরীর দান করার অনেক গল্প পড়েছিল। সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হয়েছে লিয়াঙ। লিয়াঙের মা তাঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ডাক্তারকে অনুমুতি দেয়। তার কথা মত কিডনি, যকৃত সংরক্ষণ করে রাখা হয়।