Bangladesh| ISKCON: চিন্ময়কৃষ্ণ ব্রহ্মচারী গ্রেফতারির পর এবার বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হচ্ছে ইস্কন! এল বড় আপডেট
Bangladesh| ISKCON: দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নীত হয়েছে জানিয়ে সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, একটা ঝড়ের পর ঘর ঠিক করতে যেমন সময় দরকার, তেমনি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পুরোপুরি ঠিক হতে আরও সময় লাগবে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশ ইস্কনের প্রাক্তন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। আবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন ইস্কনের আরও দুই সন্ন্যাসী। এরকম এক পরিস্থিতিতে উত্তপ্ত হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো হোক। দিল্লির তরফেও বাংলাদেশ সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে ইস্কনকে কি নিষিদ্ধ করতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার?
আরও পড়ুন-চিকিত্সা বন্ধ নয়, তবে এটা করলেই পরিষেবা পাবেন বাংলাদেশি রোগীরা
সোমবার রংপুরের পীরগঞ্জে কোটা আন্দোলনে নিহত আবু সঈদের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়ে বাংলাদেশে ইস্কনকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে কিনা। এনিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ইস্কনকে নিয়ে বাংলাদেশে কোনো অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়া আমাদের সম্পর্কে অনেক মিথ্যা প্রচার করে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম সত্য খবর প্রচারের মাধ্যমে তাদের মিথ্যা প্রচারকে বন্ধ করতে পারে। তবে ইস্কনের ব্যাপারে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে আপনারা জানতে পারবেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ইস্কনের নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কোনো সংস্থা বা সংগঠন নিষিদ্ধের ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নীত হয়েছে জানিয়ে সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, একটা ঝড়ের পর ঘর ঠিক করতে যেমন সময় দরকার, তেমনি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পুরোপুরি ঠিক হতে আরও সময় লাগবে। ইতিমধ্যেই অনেক উন্নতি হয়েছে। ঢালাও মামলা প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মিথ্যা মামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করছি। শুধু তাই নয় মামলা তদন্তে আমরা একটা কমিটি করে দিচ্ছি, যে কমিটির সদস্য হবে ডিসি-এসপিরা। সেই তদন্ত কমিটি দেখবে, যারা দোষী তাদের বিচারের আওতায় আনা। আর যারা দোষী না তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, কেউ যেন মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার না হয়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)