ফাঁসির হুকুম এক যুদ্ধাপরাধীর, জামাত-পুলিস সংঘর্ষে মৃত ২৯

অবশেষে বাংলাদেশের `৭১-এর এক যুদ্ধপরাধী জামাত নেতার ফাঁসির হুকুম দিল বাংলাদেশের অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা বাংলাদেশ। হিংসাত্মক আক্রমণ শুরু করে জামাত সমর্থকরা। পুলিস-জামাত সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মারা গেছেন দুই পুলিসকর্মীও। আগামী রবি ও সোমবার ফের বনধের ডাক দিয়েছে জামাত।

Updated By: Feb 28, 2013, 05:04 PM IST

অবশেষে বাংলাদেশের `৭১-এর এক যুদ্ধপরাধী জামাত নেতার ফাঁসির হুকুম দিল বাংলাদেশের অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা বাংলাদেশ। হিংসাত্মক আক্রমণ শুরু করে জামাত সমর্থকরা। পুলিস-জামাত সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। মারা গেছেন দুই পুলিসকর্মীও। আগামী রবি ও সোমবার ফের বনধের ডাক দিয়েছে জামাত।
রাজাকারদের ফাঁসি ও দেশ থেকে মৌলবাদী নিরাসনের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল ঢাকার শাহবাগ স্কোয়ার। জামাতের বেপরোয়া আক্রমণ, বন্ধের হুমকি, ব্লগার রাজীবের হত্যা কোন কিছুই দমিয়ে রাখতে পারেনি প্রজন্ম মঞ্চের এই প্রতিবাদকে। আজ, রাজাকর আমির দেলাওয়ার হোসাইনেড় মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণায় কিছুটা হলেও স্বীকৃতি পেল শাহবাগের ঐতিহাসিক আন্দোলন।
১৯৭১-এর যুদ্ধে  হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে আরও ন'জন রাজাকারের সঙ্গে অভিযুক্ত ছিল জামাত-ই-ইসলামির নেতা সাঈদী। আজ সাঈদীর রায়ের সঙ্গে সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের বাইরে অপেক্ষমাণ মুক্তিযোদ্ধা, শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে উপস্থিত হাজারো জনতাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় উল্লাস। 
২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা '৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য এই ট্রাইবুনাল গঠন করেছিলেন। যদিও সেই সময় থেকেই বিরোধী দল নেত্রী বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া ও বিএনপির জোটসঙ্গী জামাত-ই-ইসলামীর পক্ষ থেকে এই ট্রাইবুনালকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিরোধীতা করা হয়।
গত কয়েকদিন শাহবাগের আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য হিংস্র আক্রমণ চালিয়েছে জামাতের মদতপুষ্ট মৌলবাদীরা। চালিয়েছে অপপ্রচারও। কিন্তু জামাতের কোন চেষ্টাই বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলতে পারেনি আন্দোলনকারিদের উপর। জামাতের সব হুমকি অগ্রাহ্য করে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছেন শাহবাগে। আরও বেশি জোরদার হয়েছে জামাতকে নিষিদ্ধ করার দাবি। আজকে সাঈদীর ফাঁসির ঘোষণা একাধারে যেমন অন্য যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের পথ প্রশস্ত করল, অন্যদিকে তেমনই জামাতকে নিষিদ্ধ করার পথেও বাংলাদেশ সরকার একধাপ এগিয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। 

.