Sri Lanka: কারফিউ জারি শ্রীলঙ্কায়, অর্থনৈতিক মন্দার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে হিংসার ঘটনা
শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর একটি বাস ও একটি জিপে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। সরকার সেই দেশের পরিস্থিতি যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে। রাজধানী কলম্বোতে রাতারাতি কারফিউ জারি করে পুলিস।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বাসভবনের বাইরে চলতে থাকা বিক্ষোভ হিংসাত্মক রূপ নেওয়ার পরে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গোতাবায়ার বাসভবনের দিকে যাওয়ার রাস্তায় একটি বাসে আগুন লাগানোর আগে বিক্ষোভকারীরা, একটি পাঁচিল ভেঙে দেয় এবং পুলিসের দিকে ইট ছোঁড়ে। শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর একটি বাস ও একটি জিপে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
২২ মিলিয়ন মানুষের এই দ্বীপরাষ্ট্র দিনে ১৩ ঘন্টা পর্যন্ত ব্ল্যাকআউটের মুখোমুখি হচ্ছে। দেশের সরকারের কাছে জ্বালানী আমদানির জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা নেই বলে জানানো হয়েছে। IMF আগামী দিনে ঋণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন একজন মুখপাত্র। তিনি বলেন সরকার এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজছে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সরকার রাস্তার আলো নিভিয়ে দিচ্ছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রী পবিত্র ওয়ানিয়ারাচ্চি জানিয়েছেন, ডিজেলের ঘাটতির ফলে বিদ্যুতের ঘাটতি আরও বেড়েছে এবং মূল শেয়ার বাজারে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। বিদ্যুতের ঘাটতি শ্রীলঙ্কার আবাসিকদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তারা এতদিন প্রয়োজনীয় জিনিসের ঘাটতি এবং মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে লড়ছিলেন, এখন তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুতের ঘাটতি।
জলবিদ্যুৎ এবং তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানীর অভাবের কারণে শুক্রবার বেশ কিছু এলাকা ১২ ঘণ্টা বিদ্যুতহীন থাকবে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার পাবলিক ইউটিলিটি কমিশন। শ্রীলঙ্কায় ইতিমধ্যেই দৈনিক অন্তত ১০ ঘন্টা বিদ্যুত থাকছে না। ৮ মার্চ থেকে মার্কিন ডলারের হিসেবে দেশের মুদ্রার প্রায় SLR ৯০ তে নেমে গেছে।
এক বছর আগের ঠিক এই সময়ের তুলনায় মার্চ মাসে মূল্যবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ১৮.৭ শতাংশ। মার্চ মাসে খাদ্যের মূল্যদ্রিদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৩০.২ শতাংশে। শনিবার ভারত থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ক্রেডিট লাইনে ডিজেল পাওয়ার পরে তারা লোডশেডিং-এর সময় কমাতে সক্ষম হবেন বলে জানিয়েছেন পবিত্র ওয়ানিয়ারাচ্চি। তিনি আরও জানিয়েছেন বৃষ্টি হওয়ার আগে পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলবে। তিনি জানিয়েছেন, "আমাদের আর কিছু করার নেই।" বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আগামী মে মাসে।