বেপড়োয়া বন্দুকবাজের তাণ্ডবে আমেরিকায় মৃত ২৭

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেপড়োয়া বন্দুকবাজের তাণ্ডবের শিকার হলেন ২৭জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ২০টি শিশু। কানেকটিকাটের নিউটাউনে স্যানডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলের কিন্ডারগার্টেন ক্লাসে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাল এক হামলাবাজ। পুলিসসূত্রে খবর বন্দুকবাজেরও মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র। থমথমে নিউটাউন এলাকায় রয়েছে কড়া পুলিসি নজরদারি। ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

Updated By: Dec 15, 2012, 12:02 AM IST

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেপড়োয়া বন্দুকবাজের তাণ্ডবের শিকার হলেন ২৭জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ২০টি শিশু। কানেকটিকাটের নিউটাউনে স্যানডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলের কিন্ডারগার্টেন ক্লাসে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাল এক হামলাবাজ। পুলিসসূত্রে খবর বন্দুকবাজেরও মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র। থমথমে নিউটাউন এলাকায় রয়েছে কড়া পুলিসি নজরদারি। ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
ওয়াশিংটন ডিসি। অর্ধনমিত কাপিটল ফ্ল্যাগ। শোকস্তব্ধ মার্কিন মুলুক। কানেকটিকাটের নিউটাউনে স্যানডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে বন্দুকবাজের হামলায় স্তব্ধ গোটা দেশ। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ স্কুলের কিন্ডারগার্টেনের একটি ক্লাসরুমে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে বছর চব্বিশের এক যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পড়ে, যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েই স্কুলে ঢোকে ওই বন্দুকবাজ। চালানো হয় প্রায় একশ রাউন্ড গুলি। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে শিশুদের প্রাণহীন দেহ।  নিহত স্কুলের কয়েকজন কর্মীও।  হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে স্কুলটি ঘিরে ফেলে পুলিস। তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় হামলাকারীর মৃতদেহ।    
সনাক্তকরণের পরে জানা গেছে, হামলাকারী রায়ান ল্যানজা নিউটাউনেরই বাসিন্দা ছিল। তার মা স্যানডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলেরই শিক্ষিকা ছিলেন। গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁরও। শুধু তাই নয়। শুক্রবারই নিউ জার্সির হবোকেনে উদ্ধার হয়েছে আরও একটি মৃতদেহ। হবোকেনে মৃত যুবক সম্পর্কে রায়ান ল্যানজার ভাই। দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
কিন্ডারগার্টেনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সবরকম সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
আহতদের শিশুদের অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। উদ্বেগ এবং আতঙ্কে যেন স্তব্ধ হয়ে গেছে গোটা নিউটাউন এলাকা। সতর্কতা হিসেবে এলাকার সব এলিমেন্টরি স্কুল বন্ধ রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন।

.