জিনপিংয়ের মুখোমুখি কমলা হ্যারিস! বৈঠকে দুই দেশ পরস্পরকে কী বার্তা দিল?
Xi Jinping and Kamala Harris: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে জি জিনপিংয়ের বৈঠকের কয়েকদিনের মাথাতেই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চিনা প্রেসিডেন্টের এই আলাপ-আলোচনা। হোয়াইট হাউস জানায়, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতাবিষয়ক জোটের সম্মেলন চলাকালীন কমলা হ্যারিস ও চিনা প্রেসিডেন্টের বৈঠকটি হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস চিনকে খোলাখুলি যোগাযোগের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ, শনিবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত এক সাক্ষাতে তিনি এই আহ্বান জানিয়েছেন। ব্যাংককে এপেক সম্মেলন শেষে জি-র সঙ্গে এই বৈঠক করেন কমলা হ্যারিস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে জি জিন পিংয়ের বৈঠকের কয়েকদিনের মাথাতেই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চিনা প্রেসিডেন্টের এই আলাপ-আলোচনা হল। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতাবিষয়ক জোটের (এপেক) সম্মেলন চলাকালীন কমলা হ্যারিস চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: World Toilet Day: সকলের জন্য শৌচালয় কি খুব দূরের বিষয় ? বলে দিচ্ছে এই দিনটির উদযাপন...
সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা এক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, জি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলাপের সময়ে জো বাইডেনের বক্তব্যকেই প্রতিধ্বনিত করেছেন কমলা হ্যারিস। তিনি বলেছেন, ‘অবশ্যই চিনের সঙ্গে আমাদের খোলাখুলি আলোচনার সুযোগ তৈরি করতে হবে।’ তিনি বিশ্বের দেশগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতার যে বাতাবরণ তাকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করার কথা উল্লেখ করেছেন।
কমলা-জিনপিং ঠিক কী নিয়ে আলোচনা করলেন?
কমলা হ্যারিসের সঙ্গে থাকা এক মার্কিন কর্মকর্তা এই বৈঠক নিয়ে বলেন-- ‘চিনের উচিত, নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে উত্তর কোরিয়াকে বোঝানো যে, তারা যেন কোনও উসকানিমূলক আচরণ না করে। কেননা, উসকানিমূলক আচরণ সেই অঞ্চল ও সংলগ্ন বিশ্বের স্থিতিশীলতা নষ্ট করে।’
করোনা অতিমারী শুরু হওয়ার পর এটি জি জিনপিংয়ের দ্বিতীয়বারের বিদেশ সফর। ব্যাংককে 'এপেক' সম্মেলনের ফাঁকে বিদেশি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন তিনি। গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলন চলার ফাঁকে বিভিন্ন নেতার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে। এর আগে গত সোমবার ইন্দোনেশিয়ার একটি হোটেলে বাইডেনের সঙ্গে তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয় জি জিনপিংয়ের। দু'দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটি ছিল তাঁদের প্রথম সশরীর বৈঠক। এই বৈঠক নিয়ে দু'পক্ষই ইতিবাচক বক্তব্য রেখেছে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে, তা থামানোর প্রত্যাশাই রয়েছে তাঁদের। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ক্ষেত্রগুলিতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার কথাও ব্যক্ত করা হয়েছে।