China: ১৩০ কিমি সাইকেল চালিয়ে মায়ের নামে দিদার কাছে নালিশ জানাতে গেল শিশু...
China: মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। ছেলেটির খুব মন খারাপ। সে তার মনের কথা কাকে বলবে? ভেবে ভেবে বের করেও ফেলল। সে তার মনের কথা বলবে তার দিদাকে। ব্যস! যাঁহাতক ভাবা সঙ্গে সঙ্গে কাজ। সকাল হতেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ল সে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। ১১ বছরের ছেলেটির খুব মন খারাপ। এখন সে তার মনের কথা কাকে বলবে? ভেবে ভেবে বের করেও ফেলল। সে কার মনের কথা বলবে তার দিদাকে। তাই মায়ের নামে নালিশ জানাতে দিদার বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলল সে। চিনের মেইজিয়াং শহরের ঘটনা। তবে দিদার বাড়ি পৌঁছনোর আগেই থানায় পৌঁছতে হয় তাকে।
কী ঘটেছিল?
আরও পড়ুন: Russia: কেঁপে উঠল মাটি, ছিটকে বেরিয়ে এল একরাশ আগুন ও ছাই! আকাশে ঘন কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী...
মায়ের নামে দিদার কাছে নালিশ জানাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই সকালে নিজের সাইকেলটি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে সে। তারপর প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে ১৩০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে দিদার বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছেও যায়। তবে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল বলে রাস্তার ধারে বসে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিল সে। আর তখনই তাকে দেখে নেয় স্থানীয় পুলিস। বালককে দেখে তার যেন কেমন সন্দেহ হয়। সে তখন খবর দেয় নিকটবর্তী পুলিস স্টেশনে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস।
জানা যায়, মেইজিয়াং শহরের একটি এক্সপ্রেসওয়ে টানেলের সামনে বসেছিল বহু পথ উজিয়ে আসা বছরদশেকের ক্লান্ত বালকটি। পুলিস তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। বালকটি তখন জানায়, রাস্তায় রোড সাইন দেখে সে এত দূর সাইকেল চালিয়ে এসেছে। কয়েকবার পথ ভুল হয় তার ঠিকই। তবে ফের সে ঠিক পথ ধরে নেয়।
না খেয়ে-দেয়ে এতটা পথ সাইক্লিং করে এল কী করে সে?
এজন্য সে প্রস্তুত হয়েই এসেছে। রাস্তায় যদি খিদে পেয়ে যায়, তাই সে বাড়ি থেকেই জল ও পাউরুটি নিয়ে এসেছিল। তা সত্ত্বেও দিদার বাড়ির কাছে এসে ক্লান্ত হয়ে পড়ে সে। তাই টানেলের সামনে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিল। আর তখনই পুলিসের চোখে পড়ে সে।
পুলিস তাকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে খবর দেয়। তার মা এবং দিদা দু’জনেই থানায় আসেন। থানায় এসে তার মা একরাশ বিস্ময়ের সঙ্গে বলেন, ও আমাকে ঝগড়ার সময় এক বার বলেছিল বটে যে, ও দিদার বাড়ি চলে যাবে। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম, রাগের মাথায় বলেছে, নিশ্চয়ই সেটা করবে না বা করতে পারবে না। সত্যিই যে বেরিয়ে পড়বে, তা বুঝতে পারিনি!