মহাকাশে গবেষণাগার পাঠাল চিন
মহাকাশে "স্বর্গীয় প্রাসাদ` পাঠাল চিন। পাঠাল ১০ বছরের মধ্যে নিজস্ব মহাকাশকেন্দ্র গড়ার লক্ষ্য নিয়ে। চিনা ভাষায় টিয়ানগঙ শব্দের অর্থ স্বর্গীয় প্রাসাদ। মহাকাশে চিনের পাঠানো প্রথম গবেষণাগারের নাম টিয়ানগঙ- ১। ১০.৫ মিটার লম্বা, চোঙাকৃতি আস্ত গবেষণাগারটিকে গোবি মরুভূমি থেকে মহাকাশে নিয়ে গেল স্পেস শাটল লং মার্চ। প্রশান্ত মহাসাগরের উপরে পৃথিবী থেকে ৩৫০ কিমি দূরে জায়গা করে নিয়ে ইতিমধ্যেই ঘুরতে শুরু করে দিয়েছে "স্বর্গীয় প্রাসাদ`। আর তাকে ঘিরে ঘুরতে শুরু করে দিয়েছে চিনের মহাকাশবিজ্ঞানীদের নানা পরিকল্পনাও।
মহাকাশে "স্বর্গীয় প্রাসাদ` পাঠাল চিন। পাঠাল ১০ বছরের মধ্যে নিজস্ব মহাকাশকেন্দ্র গড়ার লক্ষ্য নিয়ে। চিনা ভাষায় টিয়ানগঙ শব্দের অর্থ স্বর্গীয় প্রাসাদ। মহাকাশে চিনের পাঠানো প্রথম গবেষণাগারের নাম টিয়ানগঙ- ১। ১০.৫ মিটার লম্বা, চোঙাকৃতি আস্ত গবেষণাগারটিকে গোবি মরুভূমি থেকে মহাকাশে নিয়ে গেল স্পেস শাটল লং মার্চ। প্রশান্ত মহাসাগরের উপরে পৃথিবী থেকে ৩৫০ কিমি দূরে জায়গা করে নিয়ে ইতিমধ্যেই ঘুরতে শুরু করে দিয়েছে "স্বর্গীয় প্রাসাদ"। আর তাকে ঘিরে ঘুরতে শুরু করে দিয়েছে চিনের মহাকাশবিজ্ঞানীদের নানা পরিকল্পনাও। আপাতত ভূপৃষ্ঠ থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হবে "স্বর্গীয় প্রাসাদ`-এর কাজকর্ম। তবে সামনের বছরই ওই "প্রাসাদ`-এ যেতে পারেন চিনের মহাকাশচারীরা। তবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আরও একটি মানববিহীন শেনঝউ- ৮ যাবে মহাকাশে। স্বর্গীয় প্রাসাদের সঙ্গে শেনঝউকে জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বিজ্ঞানীদের।
এক দশকের মধ্যে নিজস্ব মহাকাশকেন্দ্র গড়ার লক্ষ্যপূরণে ধীর পদক্ষেপে এগোতে চাইছে চিন। একদম পরিকল্পনা মেনে। ঠিক চিনা কায়দায়। শেনঝউ ৮ ঠিকঠাক ভাবে কাজ করলে ২০১২ সালে শেনঝউ ৯ আর ১০ পাঠানো হবে। সেগুলিতে ২ -৩ জন মহাকাশচারীর দুসপ্তাহ থাকার বন্দোবস্ত থাকবে। এখন আমেরিকা-রাশিয়া-ইউরোপ-কানাডা-জাপানের যৌথ উদ্যোগে একমাত্র মহাকাশকেন্দ্রটি কাজ করছে। সেটির ওজন ৪০০ টন। চিনের পরিকল্পিত মহাকাশকেন্দ্রটির মূল ক্ষেত্রের ওজন হবে ২০-২২ টন। সঙ্গে দুটি পাখায় থাকবে দুটি গবেষণাগার। সব মিলিয়ে ওজন হবে মেরেকেটে মাত্র ৬০ টন। আকারেও হবে অনেক ছোট। চিনের চোখ এখন মহাকাশ গবেষণায়। সেজন্য খরচ করা হচ্ছে কয়েকশো কোটি ইউয়ান। চাঁদে দুটি মহাকাশযান পাঠানো হয়ে গিয়েছে। আরও একটি মহাকাশযান পাঠিয়ে চাঁদের কক্ষে মহাকাশ-গাড়ি চালানোর তোড়জোড় চলছে। ২০ টনের বেশি ওজনের বহনক্ষমতাসম্পন্ন স্পেটশাটল লং মার্চ ৫-ও আসছে, নিজস্ব মহাকাশকেন্দ্র গড়তে চিন যে মরিয়া। "স্বর্গীয় প্রাসাদ` বেঁচে থাকবে দুবছর। এর মধ্যেই দ্বিতীয়, তৃতীয় গবেষণাগার পাঠানো...চিন এগোচ্ছে একদম হিসেব করে। বিতর্ক যাতে না বাড়ে সে জন্য চিনের মহাকাশবিজ্ঞানীরা আগেভাগেই জানিয়ে রেখেছেন, "মৃত্যু`র পর প্রশান্ত মহাসাগরের কোনও নির্জন প্রান্তে ধ্বংস করে ফেলা হবে মহাকাশযানগুলির "শবদেহগুলি`, একটা টুকরোও বায়ুস্তরে ভেসে বেড়াবে না।