ভারতের ঐতিহাসিক উত্ক্ষেপণ সাফল্যে প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিন
হ্যাঁ, হ্যাঁ, বিলকুল ঠিকই পড়ছেন শিরোনামটা, চমকে গিয়ে বাক্যটা আরেকবার পড়ার দরকার নেই। আর এই আপাত অসম্ভবটা সম্ভব করেছে আমাদের দেশের অসাধারণ মেধাবী মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। ১০৪টি উপগ্রহকে উত্ক্ষেপণের যে ঐতিহাসিক রেকর্ড কাল গড়েছে ইসরো, তার তারিফ করতে গিয়েই চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র 'গ্লোবাল টাইমস'-এর সম্পাদকীয় কলমে লেখা হয়েছে, "...মহাকাশ প্রযুক্তিতে ভারতের এমন অসামান্য সাফল্য এই প্রথম। তাই ভারতবাসীদের গর্বিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে..."। কিন্তু প্রাচীর ঘেরা কমিউনিস্ট দেশটি হঠাত্ ভারতের বিষয়ে এতটা সপ্রশংস কেন? শুধুই কি ১০৪টি উপগ্রহকে ভারত মহাকাশে পাঠিয়েছে বলে নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে?
ওয়েব ডেস্ক: হ্যাঁ, হ্যাঁ, বিলকুল ঠিকই পড়ছেন শিরোনামটা, চমকে গিয়ে বাক্যটা আরেকবার পড়ার দরকার নেই। আর এই আপাত অসম্ভবটা সম্ভব করেছে আমাদের দেশের অসাধারণ মেধাবী মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। ১০৪টি উপগ্রহকে উত্ক্ষেপণের যে ঐতিহাসিক রেকর্ড কাল গড়েছে ইসরো, তার তারিফ করতে গিয়েই চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদপত্র 'গ্লোবাল টাইমস'-এর সম্পাদকীয় কলমে লেখা হয়েছে, "...মহাকাশ প্রযুক্তিতে ভারতের এমন অসামান্য সাফল্য এই প্রথম। তাই ভারতবাসীদের গর্বিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে..."। কিন্তু প্রাচীর ঘেরা কমিউনিস্ট দেশটি হঠাত্ ভারতের বিষয়ে এতটা সপ্রশংস কেন? শুধুই কি ১০৪টি উপগ্রহকে ভারত মহাকাশে পাঠিয়েছে বলে নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে?
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটি আসলে ভারতের প্রশংসা করেছে 'স্বল্প ব্যায়ে বিপুল সাফল্যের' জন্য। চিনা সরকারের ট্যাবলয়েড দৈনিকটিতে লেখা হয়েছে, "মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে কয়টি উপগ্রহ উত্ক্ষেপন করা হচ্ছে সেই সংখ্যাটিই সাফল্যের একমাত্র মাপকাঠি নয়। কিন্তু সীমিত সামর্থ্যে ভারত যা করেছে তা অত্যন্ত কৃতিত্বের"। ভারতকে 'রাইসিং পাওয়ার' বলে উল্লেখ করে অন্যান্য দেশের ভারতের থেকে শেখা উচিত বলেও লেখা হয়েছে ওই কলামে।
আরও পড়ুন- আয়করের চোখে দেশের ৯ লাখ অ্যাকাউন্টে 'সন্দেহজনক' লেনদেন
উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ২০১৬ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, মহাকাশ গবেষণায় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট বরাদ্দ ছিল-৩৯.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, চিনের-৬.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, রাশিয়ার- ৫.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, জাপানের-৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এবং ভারতের- ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে ভারতের এক্ষেত্রে ব্যায় বরাদ্দ সত্যিই অনেকটা কম, আর সেকথাই বিবেচনায় এনেছে কমিউনিস্ট চিন।