সিপেক নিয়ে দিল্লির প্রতিবাদ, সেই কারণেই কী ডোকালায় চিনা আগ্রাসন?
ওয়েব ডেস্ক : দিল্লির আপত্তি সত্ত্বেও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে চিন-পাকিস্তান করিডর তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ইসলামাবাদ। ইতিমধ্যেই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত শুরু করেছে চিনের পণ্যবাহী যান। ডোকা লা-য় চিনা সেনার ঢুকে পড়ার পিছনে, সিপেক নিয়ে দিল্লির প্রতিবাদ অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই রাস্তা নিয়েই পাকিস্তান তো বটেই, চিনের সঙ্গেও বিবাদ বেধেছে ভারতের।
চিনের কাশগড় থেকে গিলগিট-বালতিস্তান হয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়ে এগিয়েছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর। পঞ্জাব-সিন্ধ-খাইবার পাখতুনখোয়া হয়ে বালুচিস্তানের গদর বন্দরে পথ শেষ হওয়ার কথা। ২০১৫-র এপ্রিলে বেজিং ইসলামাবাদ চুক্তির মাধ্যমে শুরু হয় করিডর তৈরির কাজ। ২০১৮-এ শেষ হবে প্রকল্প। ইতিমধ্যেই এই পথে গদর বন্দর পর্যন্ত যাতায়াত শুরু করেছে চিনের পণ্যবাহী যান। সড়ক, রেল, বন্দর এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। সব মিলিয়ে সিপেকের খরচ ধরা হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা। চিনের সহায়তায় প্রকল্প শেষ হলে দেশের অর্থনীতিই বদলে যাবে বলে আশা করছে ইসলামাবাদ।
ভারতীয় ভুখণ্ড পাক-অধিকৃত কাশ্মীর দিয়ে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর যাওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ করেছে দিল্লি। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর চিনের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোডের অংশ হওয়ায় এই প্রকল্পে অংশ নেয়নি ভারত। ডোকা লা-তেও স্থিতাবস্থা ভেঙে চিন রাস্তা তৈরির চেষ্টা করায় বাধা দিয়েছে দিল্লি। তৈরি হয়েছে কূটনৈতিক উত্তেজনা। সিপেকের মতোই ডোকা লা-য় চিনের সড়ক নির্মাণ ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর কূটনীতিবিদরা বলছেন, সিপেক নিয়ে ভারতের কড়া আপত্তির জেরেই ডোকা লা-য় আগ্রাসন দেখাচ্ছে চিন।
আরও পড়ুন, পাক ওয়েবসাইট হ্যাক করে ভারতের জাতীয় সংগীত ও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা পোস্ট করা হল