উচ্চ পর্যায়ের সিপেক বৈঠকে চিন-পাকিস্তান, অটুট বন্ধুত্বের বার্তা ইমরানের
বৈঠক শেষে ইমরান জানান, পাকিস্তানের বিদেশ নীতির ভিত্তি হল চিন। পাঁচ দশকের বন্ধুর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগোতে চায় পাকিস্তান। তাই সিপেক বাস্তবায়নে সব রকমের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইমরান খান
নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘সব মরসুমের’ বন্ধু চিনের সঙ্গে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করল পাকিস্তান। পাকিস্তানে নতুন সরকার আসার পর চিন-পাকিস্তান করিডর (সিপেক) নিয়ে আরও এক ধাপ এগোলো বেজিং। শুক্রবার তিন দিনের পাক সফরে এসে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। জানা গিয়েছে, ৫ হাজার কোটি ডলারের সিপেক প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে নানা ইস্যু নিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয় ইমরান খানের।
আরও পড়ুন- লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ছবি জাল! বিস্ফোরক দাবি গবেষকের
বৈঠক শেষে ইমরান জানান, পাকিস্তানের বিদেশ নীতির ভিত্তি হল চিন। পাঁচ দশকের বন্ধুর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগোতে চায় পাকিস্তান। তাই সিপেক বাস্তবায়নে সব রকমের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইমরান খান। সদ্য শপথ নেওয়া পাক প্রধানমন্ত্রীর দফতর বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সিপেক প্রকল্পে দুই দেশই পারস্পরিকভাবে লাভবান হবে। বিশেষ করে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে জোয়ার আসবে বলেও দাবি ইসলামাবাদের।
আরও পড়ুন- ইলিশের সম্পূর্ণ জিনোম শৃঙ্খল প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের ৪ গবেষক
পাক রাষ্ট্রপতি পদে সদ্য শপথ নেওয়া আরিফ আলভি জানিয়েছেন, চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখা পাকিস্তানের জাতীয় নীতি। পাঁচ দশক ধরে দুই দেশ বন্ধুত্ব অক্ষুন্ন রেখেছে। বেজিং-এর তরফেও একই বার্তা দেওয়া হয়েছে। চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে ভবিষ্যতে কোনও পরিবর্তন আসবে না। নতুন পাক সরকারও সেই পথে হাঁটবে বলে আশাবাদী বেজিং।
সিপেক বিষয়ে ইমরান খানের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি স্বভাবতই অস্বস্তিতে রেখেছে নয়া দিল্লিকে। পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের উপর দিয়ে করিডর তৈরি করায় প্রথম থেকেই বিরোধিতা করছে ভারত। দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিষয়টি তোলার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি। তবে, চিনের হাত ধরে প্রতিবেশী দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ইমরান কীভাবে দু’কদম এগোয়, সে দিকেই তাকিয়েই জল মাপছে সাউথ ব্লক।