চোরা শিকারিদের দাপটে রাশিয়ার খয়েরি ভাল্লুক অবলুপ্তির পথে

শিকারিদের তাণ্ডবে রাশিয়া থেকে ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছিল খয়েরি ভাল্লুক। অনাথ ভাল্লুক শাবকদের উদ্ধারকেন্দ্রে নিয়ে এসে বড় করে তোলার কাজ শুরু করেছে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যানিমাল ওয়েল ফেয়ার। কিছুটা বড় হলে ওই ভাল্লুকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় বনে। এপর্যন্ত ১৯০০ ভাল্লুককে জঙ্গলে ফিরিয়ে দিয়েছেন ওরা।মস্কো থেকে সাড়ে তিনশ কিলোমিটার দূরে এই ভাল্লুক উদ্ধার কেন্দ্র। মা হারা ছোট ছোট ভাল্লুক ছানাকে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে কুড়ি বছর আগে তৈরি হয়েছিল এই কেন্দ্রটি। সেই সময়ে শিকারিদের তাণ্ডবে রাশিয়ার জঙ্গল থেকে উধাও হতে বসেছিল খয়েরি ভাল্লুক।

Updated By: Sep 19, 2013, 10:00 AM IST

শিকারিদের তাণ্ডবে রাশিয়া থেকে ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছিল খয়েরি ভাল্লুক। অনাথ ভাল্লুক শাবকদের উদ্ধারকেন্দ্রে নিয়ে এসে বড় করে তোলার কাজ শুরু করেছে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর অ্যানিমাল ওয়েল ফেয়ার। কিছুটা বড় হলে ওই ভাল্লুকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় বনে। এপর্যন্ত ১৯০০ ভাল্লুককে জঙ্গলে ফিরিয়ে দিয়েছেন ওরা।মস্কো থেকে সাড়ে তিনশ কিলোমিটার দূরে এই ভাল্লুক উদ্ধার কেন্দ্র। মা হারা ছোট ছোট ভাল্লুক ছানাকে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে কুড়ি বছর আগে তৈরি হয়েছিল এই কেন্দ্রটি। সেই সময়ে শিকারিদের তাণ্ডবে রাশিয়ার জঙ্গল থেকে উধাও হতে বসেছিল খয়েরি ভাল্লুক।
বন থেকে ভাল্লুক শাবকদের নিয়ে এসে পরম যত্নে বড় করে তোলা হয় এই কেন্দ্রে। রাশিয়ায় এখন ভাল্লুকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১লক্ষ ২০ হাজার। বন্ধ হয়েছে শীতকালীন শিকারও।
তিন থেকে চার মাস বয়স পর্যন্ত মানুষের সাহায্য লাগে এই ভাল্লুকদের। তার পরে এরা নিজেরাই খাবার সংগ্রহ, বাসা বাঁধার কাজ শিখে নেয়। রাশিয়ার প্রবল শীত সহ্য করার মতো ক্ষমতা ভাল্লুক শাবকদের হয়েছে কি না তার উপরেও নজর রাখা হয়। একটি শাবকের ওজন ৩০ থেকে ৩৫ কেজি হলে সেটি শীত সহ্য করতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে বনে ফিরিয়ে দেওয়ার আগে, শাবকটি বন্য জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছে কিনা তা দেখে নেওয়া হয় পরীক্ষা করে। এমনকি বনে ছাড়ার আগে ভাল্লুক শাবকের রক্ত পরীক্ষাও হয়। সব ঠিকঠাক  হলে তবেই বনে ফেরার ছাড়পত্র মেলে ভাল্লুক শাবকদের।

.