সঙ্কটে ব্রেক্সিট, অন্ধকারে টেরেজার ভবিষ্যত-ও
ব্রেক্সিটের অন্যতম মন্ত্রী ডোমিনিক রাব-সহ আরও দুই মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন। এই মুহূর্তে কনজার্ভেটিভ দলে টেরেজা এতটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন, আস্থা ভোটের মধ্য দিয়ে তাঁকে যেতে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ওয়েস্টমিনিস্টারে এক অদ্ভুত নীরবতা তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে ব্রেক্সিট কোন পথে? চরম জল্পনা তৈরি হয়েছে ব্রিটেনবাসীর মধ্যে। খোদ ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র পাশে থাকলেও তাঁর মন্ত্রীদের অনেকেই পাশে নেই। বৃহস্পতিবারও কয়েক জন মন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে গেল।
ব্রেক্সিটের অন্যতম মন্ত্রী ডোমিনিক রাব-সহ আরও দুই মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন। এই মুহূর্তে কনজার্ভেটিভ দলে টেরেজা এতটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন, আস্থা ভোটের মধ্য দিয়ে তাঁকে যেতে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১৬ সালে গণভোটের মাধ্যমে সিংহভাগ ব্রিটেনবাসী ঠিক করেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার। আগামী বছর ২৯ মার্চের মধ্যে বেরিয়ে আসতে হবে ব্রিটেনকে। কিন্তু খসড়া তৈরি করতে গিয়েই নানা বিতর্কে জড়ায় টেরেজা মে-র সরকার। অন্দরেই অভিযোগ ওঠে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে না এসে ‘নরম’ ব্রেক্সিট নীতি গ্রহণ করছেন টেরেসা। বিরোধিতা শুরু করেন তাঁরই বিদেশমন্ত্রী বরিস জনসন। জুলাইয়ে তাঁর ইস্তফার সঙ্গে আরও দুই মন্ত্রী ইস্তফা দেন। তবুও অটল টেরেসা।
আরও পড়ুন- ‘টক্সিক’ বছরের সেরা শব্দ, নজরে ‘মিটু’-ও
জনসন তাঁর ইস্তফাপত্রে দাবি করেছিলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যে মুক্তবাণিজ্য গড়ে তোলার কথা বলা হচ্ছে, আসলে ব্রিটেনের অর্থনীতির অনেকটাই তাদের কাছে গচ্ছিত থাকবে। বৃহস্পতিবার চরম পরিস্থিতে পরিণত হল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। টেরেসা যদিও দাবি করেন, এখনও পর্যন্ত এটি খসড়া। আলোচনার মধ্য দিয়ে পথ বার করার সুযোগ তাঁদের হাতে রয়েছে।