`কোরান` পোড়ানোর ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন ওবামা

চাপের মুখে শেষমেশ ক্ষমা চাইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কাবুলে ন্যাটোর বিমানঘাঁটিতে মুসলিম ধর্মগ্রন্থ `কোরান` পোড়ানোর ঘটনায় আফগানিস্তানবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে বৃহস্পতিবার একটি চিঠি দেন ওবামা।

Updated By: Feb 23, 2012, 09:04 PM IST

চাপের মুখে শেষমেশ ক্ষমা চাইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কাবুলে ন্যাটোর বিমানঘাঁটিতে মুসলিম ধর্মগ্রন্থ 'কোরান' পোড়ানোর ঘটনায় আফগানিস্তানবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইকে বৃহস্পতিবার একটি চিঠি দেন ওবামা। ওই চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, এই ঘটনায় তিনি অত্যন্ত মর্মাহত। কোরান পুড়িয়ে একেবারেই ঠিক কাজ করেনি মার্কিন সেনা। দোষী সেনাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন ওবামা।
যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমাপ্রার্থনাতেও বিক্ষোভের আঁচ এতটুকু কমেনি আফগানিস্তানে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ তৃতীয় দিনেও অব্যাহত। কাবুল প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিনের বিক্ষোভে ২ জন মার্কিন সেনা-সহ কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বহু মানুষ আহত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা এদিনও বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। ওবামার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে মার্কিন পতাকা পুড়িয়েছে।

'কোরান'-এর অপমানের বদলা নেওয়ার ডাক দিয়েছে তালিবান। তালিবানের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শুধু বিক্ষোভ দেখালেই হবে না। এই ঘটনার উচিত শিক্ষা দিতে মার্কিন সেনার ঘাঁটিগুলিতে আক্রমণ করতেহবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বাগ্রাম বিমানঘাঁটিতে মুসলিম ধর্মগ্রন্থ 'কোরান' ও বেশ কিছু ইসলাম ধর্মীয় সরঞ্জাম পোড়ায় কয়েকজন মার্কিন ফৌজ। এর পরই ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় কাবুলে। আবদুল ওয়াহিদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, এদিন সকাল ১১টা নাগাদ একটি ট্রাকে ভর্তি 'কোরান' বাগ্রাম বিমানঘাঁটিতে নিয়ে আসে মার্কিন সেনারা। এরপর সেগুলিকে একটি জায়গায় জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।

.