ISKCON in Bangladesh: বাংলাদেশে ইস্কনের কাজে নিষেধাজ্ঞা? গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের...
Chinmoy Krishna Das Arrest: রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সোমবার গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। এরপর মঙ্গলবার তাকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এর জেরেই উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশে। তারপরই ইস্কনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ময়দানে নেমে পড়ে হেফাজতে ইসলাম-সহ বাংলাদেশের একাধিক সংগঠন। এই মামলায় আদেশ জারি বাংলাদেশ হাইকোর্টের।
রাজীব চক্রবর্তী: বাংলাদেশ হাইকোর্ট ইস্কনের কার্যকলাপে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কোনও আদেশ জারি করতে বারণ করেছে। আদালত জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আজকের শুনানির সময়, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চের সামনে প্রাসঙ্গিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়। আদালত আশা প্রকাশ করেছে যে সরকার দেশের মানুষের জীবন এবং সম্পত্তি রক্ষা করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করবে।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আনিক আর হক এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদ উদ্দিনের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। তারা আদালতকে জানান যে, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ড এবং ইস্কনের কার্যক্রম নিয়ে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়াও, এই মামলাগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছে যে, ইস্কনের সাম্প্রতিক কার্যক্রম সম্পর্কিত সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা আদালতকে অবহিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সোমবার গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। এরপর মঙ্গলবার তাকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। মঙ্গলবার চিন্ময় দাসের আদালতে পেশের আগে আদালত চত্বরে জড়ো হয়েছিল শয়ে শয়ে মানুষ। আদালত চত্বরে উঠেছিল জয় শ্রীরাম স্লোগানও। রায় শোনার পরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আদালত চত্বর। পুলিসের প্রিজন ভ্যান প্রায় তিন ঘণ্টা আটেক রাখে বিক্ষোভকারীরা। আদালত চত্বর থেকে চিন্ময়কে নিয়ে বের হতে গেল শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। পুলিস টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়ে ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তখনই বিক্ষুব্ধ জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে জড়ো হয়। এর পরই ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে জনতা। তাড়া করে পুলিস। পাল্টা তাড়া করে জনতাও। এতে অনেকে গুরুতর আহত হন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় সরকারি আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের।
উল্লেখ্য, হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার পটভূমিতে বুধবার বাংলাদেশ হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। এতে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইস্কন)-এর কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার দাবি তোলা হয়। পাশাপাশি, চট্টগ্রাম ও রংপুরে চলমান অশান্তি ঠেকাতে জরুরি অবস্থা জারি করার আবেদন করা হয়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)