Hilsa | Bangladesh: দেশে যে মাছের কেজি ১২০০, ভারতে গেল ৮০০ টাকায়! ইলিশ-কূটনীতিতে বাংলাদেশে অশান্তি...
Bangladesh Yunus Govt: ভারতে প্রতি কেজি ইলিশ রফতানি করা হয়েছে বাংলাদেশি ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮০০ রুপি। অথচ, যশোরের বড় বাজার মাছের আড়তে পাইকারিতে প্রতি কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১২০০ রুপি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দীর্ঘ টালবাহানার পর বৃহস্পতিবার রাজ্যে এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশের রুপোলি শস্য। শুক্রবার সকাল থেকে হাওড়া পাইকারি বাজারে মিলছে বাংলাদেশি ইলিশ। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথম দিনে ৭টি ট্রাকে ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি আকারের ২৫ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠিয়েছে ভারতে। ইলিশ রফতানি করে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতে রফতানি করা ইলিশের দাম নিয়ে প্রশ্নের মুখে ইউনুস সরকার।
আরও পড়ুন, Thailand: অমানবিকতার চূড়ান্ত! ছুটি দিলেন না বস, অসুস্থ শরীরেই অফিসে এসে ২০ মিনিটেই মৃত্যু তরুণীর...
ভারতে প্রতি কেজি ইলিশ রফতানি করা হয়েছে বাংলাদেশি ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮০০ রুপি। অথচ, যশোরের বড় বাজার মাছের আড়তে পাইকারিতে প্রতি কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১২০০ রুপি। অর্থাত্ একই আকারের ইলিশ প্রায় ৪০০ টাকা কমে ভারতে রফতানি করেছে বাংলাদেশ সরকার। অন্যদিকে ওই আকারের ইলিশ খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকারও বেশি দামে। তাই প্রায় ৯০০ টাকা বেশি দাম দিয়ে ইলিশ কিনতে হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের দিকে আঙুল তুলছে বাংলাদেশের জনগণ। এ প্রসঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পরিদর্শক এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, 'এই প্রশ্নের উত্তর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা দিতে পারবেন। তবে আমি যেটা জানি সেটা হলো, ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তখনকার বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে ১০ ডলারে প্রতি কেজির রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয়। এখনো সেই পরিপত্র অনুযায়ীই রপ্তানি হচ্ছে।'
প্রতিবছর দুর্গাপূজায় বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ উপহার পাঠানো হয়। কিন্তু বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ বছর জানিয়েছিলেন, এবারের দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ রফতানি করা হবে না। অবশেষে, পুজোর আগে বাজারে ইলিশ দেখা মেলায় স্বস্তিতে রাজ্যবাসী। তবে এর বিপরীতে দেওয়া হয়েছে আটটি শর্ত। শর্তে বলা হয়েছে, অনুমতির মেয়াদ কার্যকর থাকবে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। শর্তগুলো হচ্ছে-বর্তমান রফতানিনীতির বিধিবিধান মানা, শুল্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ইলিশের পরীক্ষা করানো, প্রতিটি চালান (কনসাইনমেন্ট) শেষে রপ্তানিসংক্রান্ত কাগজপত্র বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা, অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ রফতানি না করা। এছাড়া অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তর না করা, অনুমোদিত রফতানিকারক ছাড়া ঠিকায় (সাব–কন্ট্রাক্ট) রফতানি না করার শর্তও থাকছে এবং বাংলাদেশ সরকার যেকোনো সময় রফতানি বন্ধ করতে পারবে।
আরও পড়ুন, Dubai: দুবাইয়ের শেখ কিনলেন আস্ত দ্বীপ! কারণ, দেশে বিকিনি পরতে পারেন না আদরের 'মখমলি' স্ত্রী...
আরও পড়ুন, Bangladesh: 'বিচার না হলে ক্লাসে ফিরব না', বিক্ষোভে ছাত্রীরা...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)