রাতের আকাশে চন্দ্রযান ২-কে দেখে ইউএফও ভেবে বসল অস্ট্রেলিয়াবাসী!
দক্ষিণ কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক জন্টি হর্নার বলেন, “ফুটেজটি দেখে মনে হচ্ছে এটি খুব সম্ভবত এটি চন্দ্রযান ২-এর ইঞ্জিনের আলো।”
নিজস্ব প্রতিবেদন: অস্ট্রেলিয়ায় তখন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। অন্ধকার আকাশে হঠাতই দেখা গেল সাদা আলোর বিচ্ছুরণ। যেন কিছু একটা ধীরে ধীরে উড়ে যাচ্ছে অনেক উঁচু দিয়ে। ২-৩ মিনিট ধরে সমানে উড়ে যেতে দেখা গেল অজানা যানকে। তাই দেখে সেটাকে ইউএফও বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের যান বলে দাবি করছেন অস্ট্রেলিয়াবাসীদের একাংশ। তবে, ইউএফও না, এটি আসলে চন্দ্রযান-২, মত অধিকাংশ মহাকাশবিজ্ঞানীদের।
২২ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার আাকাশের অজানা এই আলোকে ঘিরে বিতর্ক গোটা দেশে। সেই অদ্ভুত আলোর ছবিও তোলেন অনেকে। ছবি দেখলে এক নজরেই বলে দেওয়া যায়, সেটি কোনও বিমান বা হেলিকপ্টার নয়। অস্ট্রেলিয়ার এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। তিনি বলেন, “প্রথমেই আমিও এটিকে ইউএফও ভেবেছিলাম। তবে, এখন অন্য কথা শুনছি।”
ইউএফও নয়, এটি আসলে চন্দ্রযান-২, মত মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। দক্ষিণ কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক জন্টি হর্নার বলেন, “ফুটেজটি দেখে মনে হচ্ছে এটি বায়ুমন্ডলের বাইরে উড়ন্ত স্পেস ক্রাফট। খুব সম্ভবত এটি চন্দ্রযান ২-এর ইঞ্জিনের আলো।” অনেকে এটিকে উল্কা বলেও দাবি করেন। তবে, সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে অধ্যাপক হর্নার জানান, উল্কার গতি এত কম হয় না।
আরও পড়ুন: ভারতে কিছু হয় না, এই মনোভাব বিসর্জন দিন, তরুণদের পরামর্শ বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহার
২২ জুলাই দুপুর ২টো ৪৩ মিনিটে ভারতের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ হয় চন্দ্রযান-২-এর। ১৬ মিনিট উড়ানের পর মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে যায় চন্দ্রযান-২। দক্ষিণ গোলার্ধে যে অংশে চন্দ্রযান-২ প্রথমে পৌঁছায়, সেখানেই অস্ট্রেলিয়া অবস্থিত। আর অস্ট্রেলিয়ার সময় ভারতের থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা এগিয়ে। ফলে, যানটি যে চন্দ্রযান-২ সে বিষয়ে একমত বেশিরভাগ মহাকাশবিজ্ঞানীরা।
অন্যদিকে এর বিপক্ষেও যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান মহাকাশকেন্দ্রের বিজ্ঞানী ডঃ মোরিস জোনস বলেন, “ওই দিন ভারতের যানটির ইঞ্জিন কক্ষপথে এসেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা। চন্দ্রযান-২-এর রকেটও অনেক আগেই বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এটি চন্দ্রযান-২ নাও হতে পারে।”