আপাতত ১০০ বছর Apophis-এর ধাক্কা থেকে কোনও ভয় নেই পৃথিবীর
আগে বলা হয়েছিল, ২০২৯ ও ২০৩৬ সালে পৃথিবীর উপর এসে পড়তে পারে গ্রহাণুটি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০০৪ সালে অ্যাপোফিজ গ্রহাণুটি আবিষ্কৃত হয়। এর পর থেকেই মহাকাশবিজ্ঞানীদের একটা আশঙ্কা তাড়া করে বেড়াচ্ছিল যে, এই বুঝি সেটা পৃথিবীর ঘাড়ে এস পড়ল। তবে আপাতত সেই ধরনের কোনও আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়ে দিল নাসা।
NASA-র বিজ্ঞানীরা এবং অন্য মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আগে জানিয়েছিলেন, এটাই পৃথিবীর জন্য সব চেয়ে বিপজ্জনক গ্রহাণু। এ ক্ষেত্রে ২০২৯ ও ২০৩৬ সালে পৃথিবীর উপর এসে পড়তে পারে Apophis। যদিও পরে সেই পূর্বাভাস থেকে সরে আসে মহাকাশ সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার Oil Refinery-তে ভয়াবহ আগুন
মিশরের (Egypt) মিথোলজি অনুসারে অন্ধকার, ঝড়, ভূমিকম্প, মৃত্যুর দেবতা হল এই Apophis। সেই দেবতার নামানুসারেই এই গ্রহাণুটির নাম অ্যাপোফিজ। এর ধ্বংসাত্মক চরিত্রের দিকে তাকিয়েই হয়তো এই নাম দেওয়া হয়েছিল। এবং প্রথম থেকেই বলা হচ্ছিল, গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য বেশ বিপজ্জনক।
বিপদের আশঙ্কা তো আছেই। গত ৫ মার্চ পৃথিবীর ১৭ মিলিয়ন কিলোমিটার দূর দিয়ে গিয়েছে এটি। এর পর ২০২৯ সালে পৃথিবীর খুব কাছে আসবে। বিজ্ঞানীদের ঘোষণা, ২০২৯-এর ১৩ এপ্রিল পৃথিবীর ৩২,০০০ কিলোমিটার দূর দিয়ে দৌড়বে গ্রহাণুটি। তবে ২০৬৮ সালে গ্রহাণুটির সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হলেও হতে পারে।
তবে এবার বিজ্ঞানীদের মত আলাদা। NASA-র তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হল, আপাতত এরকম কোনও মহাজাগতিক সংঘর্ষের আশঙ্কা নেই। অন্তত আগামী ১০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর সঙ্গে অ্যাপোফিজের ধাক্কার কোনও ঘটনাই ঘটবে না।
আরও পড়ুন: মেপেই দেখা যায়, কে কত Cute, মত বিজ্ঞানীদের