তীব্র ভূমিকম্পে কাঁপল মাটি, জারি সুনামি সতর্কতা
১৯০০ সাল থেকে, নিউ গিনি অঞ্চলে ৭.৫ এবং তার বেশি মাত্রার ২২টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। এই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি ছিল ৮.২ মাত্রার। ১৯৯৬ সালে ইন্দোনেশিয়ার উত্তরে পাপুয়া প্রদেশে একটি অগভীর থ্রাস্ট ফল্ট ইভেন্ট হয় যেখানে ১৬৬ জন নিহত হন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রবিবার পূর্ব পাপুয়া নিউ গিনির কাছে একটি ভুমিকম্প অনুভুত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.৬। স্থানীয়রা উপকূলীয় শহর মাদাং এবং দেশের আরও অভ্যন্তরীণ অংশে বাড়িগুলির ক্ষতির কথা জানিয়েছেন। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা এই ভূমিকম্পের খবর দিয়েছে। তারা শুরুতে একটি সুনামির সতর্কতাও জারি করে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীকালে তারা বলেছে যে চিন্তার কোনও কারণ নেই। যদিও তারা এও জানিয়েছে যে এখনও ‘কিছু উপকূলীয় এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের সামান্য ওঠানামা’ হতে পারে।
পাপুয়া নিউ গিনির কিছু অংশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং বাড়িগুলির ক্ষয় ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছে। এর কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি শহর থেকে প্রায় ৩০০ মাইল (৪৮০ কিলোমিটার) দূরে পোর্ট মোরেসবির রাজধানী পর্যন্ত অংশে ব্যাপকভাবে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পূর্বাঞ্চলীয় উচ্চভূমি অঞ্চলের শহর গোরোকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষয় ক্ষতির চিত্র এবং ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ভূমিকম্পের সময় দেওয়াল এবং জানালার ছাউনিতে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রের সবচেয়ে কাছের লায়ে এবং মাদাংয়ের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগের ভূমিকম্পের তুলনায় এই কম্পন অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। মাদাং এর কাছে জাইস আবেন রিসোর্টের একজন কর্মী হিভি আপকোর জানিয়েছেন, কম্পন খুবই শক্তিশালী ছিল এবং সবকিছু সমুদ্রের উপর ভাসছে বলে মনে হচ্ছিল।
#DEVELOPING | #PAPUA #EARTHQUAKE
MUST WATCH - Incredible Video of the #PapuaNuevaGuinea #Papua #earthquake pic.twitter.com/0ItEqTzRYh
— Nelson Quiñones (@nelsonqatlanta) September 11, 2022
ইউএসজিএস জানিয়েছে, কাইনান্টু শহর থেকে প্রায় ৬৭ কিলোমিটার দূরে এবং ৬১ কিলোমিটার (৩৮ মাইল) গভীরতায় ভূমিকম্পটি প্রথম আঘাত হানে।
পাপুয়া নিউ গিনি প্রশান্ত মহাসাগরীয় "রিং অফ ফায়ার" এর উপর অবস্থিত। যার ফলে এই দেশকে ঘন ঘন ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়।
আরও পড়ুন: Google Doodle: রানির শোকে গুগল কালো
প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়ায় ২০০৪ সালে একটি ৯.১-মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর ফলে একটি সুনামির ঘটনা ঘটে সেই সময়। এই ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১৭০,০০০ সহ সমগ্র অঞ্চল জুড়ে ২২০,০০০ জনের মৃত্যু হয়।
১৯০০ সাল থেকে, নিউ গিনি অঞ্চলে ৭.৫ এবং তার বেশি মাত্রার ২২টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। এই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি ছিল ৮.২ মাত্রার। ১৯৯৬ সালে ইন্দোনেশিয়ার উত্তরে পাপুয়া প্রদেশে একটি অগভীর থ্রাস্ট ফল্ট ইভেন্ট হয় যেখানে ১৬৬ জন নিহত হন।
পাপুয়া নিউ গিনির বাসিন্দারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাটল ধরা রাস্তা, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ও গাড়ি এবং সুপারমার্কেটের তাক থেকে পড়ে যাওয়া জিনিসপত্রের ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করেছেন।