ভাষা আলাদা, স্বর এক, আমাজন অগ্নিকাণ্ডে নানা প্রান্তে বিক্ষোভের মুখে ব্রাজিল সরকার
আমাজন পুড়ছে অবাধে। সে আগুন নেভাতে সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আমাজন পুড়ছে। বাড়ছে সরকারের ওপর ক্ষোভ। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদের আগুন ছড়াচ্ছে মেক্সিকো সিটি, সান্টিয়াগো, কুইটোয়। ব্রাজিলের দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়ে চলছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, স্রেফ ব্যবসার কারণে নষ্ট করা হচ্ছে আমাজনকে।
হাতে প্লাকার্ড। মুখে সোচ্চার স্লোগান। আমাজন পুড়ছে অবাধে। সে আগুন নেভাতে সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। বাড়ছে বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা। তাই রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ। গোটা বিশ্ব জুড়েই প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছেন সকলে। প্রতিবাদের আঁচ জোড়ালো দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে। অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জঁ বলসোনারোর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কৃষক আর জমি দখলকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট।
.@ExtinctRebelsIE #ActForAmazonia at Brazilian Embassy #Dublin to protest the Brazilian government’s reckless environmental policies as the Amazon burns. #OurLungsAreOnFire #ExtinctionRebellion pic.twitter.com/xChGY03qrm
— Kevin O'Farrell (@kv_ofarrell) August 23, 2019
Protest this morning by @ExtinctionR outside the Brazilian Embassy in London.
They’re calling on President Jair Bolsonaro to to protect the Amazon rainforest. pic.twitter.com/FuzpggNYzr
— Catrin Nye (@CatrinNye) August 23, 2019
লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ব্রাজিল দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হচ্ছেন। জানাচ্ছেন সোচ্চার প্রতিবাদ। চিলি, ইক্যুয়াডর কিংবা মেক্সিকো সিটি বা স্যান্টিয়াগো। প্রতিবাদের ভাষা আলাদা, কিন্তু ক্ষোভের ছবি একই সব জায়গায়। পেরু, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর আর বলিভিয়া ছুঁয়ে রয়েছে আমাজন। বিপদের আঁচ গোটা বিশ্বেই। পৃথিবীর ফুসফুস আমাজন বাঁচানোর ডাক উঠেছে সবপ্রান্তে।
দক্ষিণ আমেরিকার বৃষ্টিচ্ছায় অরণ্য আমাজন পৃথিবীর ২০ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ করে। সে কারণে আমাজনকে পৃথিবীর ফুসফুস বলে থাকেন অনেকে। বিশ্ব উষ্ণায়নের মোকাবিলায় আমাজনের অরণ্য অনেকটাই নির্ভরতা দেয়। সেই আমাজনেই লেগেছে বিধ্বংসী আগুন। আর এ জন্য ব্রাজিলের দক্ষিণপন্থী প্রেসিডেন্ট জঁ বোলসোনারোর নীতিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন পরিবেশবিদেরা। কারণ বলসোনারোই আমাজনকে খনিজ উত্তোলন ও কৃষিকাজের জন্য ব্যবহারের কথা বলেছিলেন। ব্রাজিলের প্রেসি়ডেন্ট মনে করেন, ওই অঞ্চলের খনিজ উত্তোলনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো দরকার। আগুন লাগার পর তিনিই উঠেছেন কাঠগড়ায়। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। দাবি করেছেন, কৃষির জন্য আগুন লাগিয়ে চাষের জমি তৈরি করেন কৃষকরা। বিশ্বজুড়ে চাপের মুখে আগুন নিয়্ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনীকে পাঠিয়েছে ব্রাজিল। ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর রিসার্স জানিয়েছে, চলতি বছরে ৭২ হাজার ৮৪৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে আমাজনে। গত বছরের তুলনায় তা ৮৫ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানের চেষ্টা জলে, মোদীকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান দিলেন আমিরশাহির যুবরাজ