Imran Khan: Imran Khan: 'আন্দোলন চালিয়ে যান, হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই যোগ দিচ্ছি' দলীয় কর্মীদের ইমরান...
Imran Khan: ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের তরফে আগেই দাবি করা হয়েছিল, যাদের নির্দেশে ইমরানের উপর হামলা হয়েছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম পাক প্রধানমন্ত্রী!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'আপনারা জোরদার প্রতিবাদ-আন্দোলন চালিয়ে যান, হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই আমি আপনাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছি'-- হাসপাতাল থেকেই নিজের দলীয় কর্মীদের এই নির্দেশ দিলেন ইমরান খান। আর এই ভাবেই তিনি তাঁদের উৎসাহিতও করার চেষ্টা করলেন।ইমরানকে বা কারা সেদিন গুলি করল এ নিয়ে নানা মহলে নানা চাপানউতোর, নানা জল্পনা। তবে স্বয়ং ইমরান খান নতুন করে জল্পনা উসকে দিয়েছেন তাঁর আক্রমণের পিছনে স্বয়ং পাক প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন বলে। বলা হচ্ছে, ইমরানের পায়ে চারটি গুলি লেগেছে। তবে তাঁর আঘাত গুরুতর নয়। এক পদযাত্রায় তাঁর দিকে গুলি চালায় আততায়ী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় গুরুতর আঘাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। অনেকে বলছেন, প্রাণেই বেঁচেছেন ইমরান, কারণ, তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলাই করা হয়েছিল। যাই হোক, ঘটনার পরই বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয় ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের পক্ষ থেকে। তাদের দাবি, যে তিনজনের নির্দেশে ইমরানের উপর ওই হামলা হয়েছে তাঁদের মধ্যে অন্যতম পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ! বলা হচ্ছে, শুধু দল নয়, হাসপাতাল থেকে এমন অভিযোগ জানিয়েছেন নাকি স্বয়ং ইমরানও! হাসপাতাল থেকে হাসপাতালের পোশাকেই এক ভার্চুয়াল বৈঠক করেন ইমরান। সেখানে তিনি বলেন-- হামলার আগের দিনেই জানতে পেরেছিলাম, ওয়াজিরাবাদে ওরা আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে!
বৃহস্পতিবার ওয়াজিরাবাদের জাফারালি খান চকে ঘটনাটি ঘটে। সেখানে রিয়েল ফ্রিডম র্যালি করার সময়ে ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। জানা গিয়েছে, গুলি ইমরানের পায়ে লেগেছিল। ঘটনায় ইমরান ছাড়াও আরও চারজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পরেই সঙ্গে সঙ্গে ইমরান খানকে বুলেট প্রুফ গাড়িতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ঘটনার একটি ভিডিয়োও প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, ফায়ারিং ঘটার ঠিক পরেই ইমরানকে বুলেট প্রুফ গাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। র্যালি চলাকালীন ইমরান একটি ওপেন-টপ গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন।
ইমরানকে কেন্দ্র করে বহুদিন থেকেই উত্তাল পাকিস্তান, উত্তাল পাক-রাজনীতি। বেশ কিছু আগেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে ইমরানকে। ইমরান বিরুদ্ধে তোষাখানা কেলেঙ্কারির তদন্তও চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বহু দামি উপহার পেয়েছিলেন ইমরান খান। সেইসব উপহার সরকারি খাজাঞ্চিখানায় জমা না দিয়ে সেইসব উপহার সম্পর্কে মিথ্যে তথ্য দিয়েছেন সরকারকে। কোনও কোনও উপহার বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে ক্ষমতা হারিয়েও ক্ষমতায় ফেরার সলতে পাকাচ্ছিলেন পাক কিং খান। কিন্তু আগামী ৫ বছর কোনও নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন না পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান-- এই ঘোষণা করেছে সেদেশের নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এই ঘোষণায় প্রবল বিপাকে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি। কমিশনকে গালমন্দ করার পাশাপাশি সরকার পক্ষের দাবি, গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে কিং খানের দলের নেতারা।