বোন ফেরেনি; সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিয়ো ভুয়ো, জানালেন লাহোরে অপহৃত শিখ তরুণীর দাদা
নানকানা সাহিবের বাসিন্দা জগজিত্ কউর নামে ওই তরুণীকে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করা হয়। তার বিয়ে দেওয়া হয় এক মুসলিম তরুণের সঙ্গে
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানে অপহৃত শিখ তরুণীর ঘরে ফেরা নিয়ে সৃষ্টি হল চরম বিভ্রান্তি।
শনিবার সংবাদমাধ্যমে একটি খবর রটে যায় আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ওই তরুণীকে তার বাড়িতে ফিরিয়ে দিল ইমরান খান প্রশাসন। পাশাপাশি অপহরণের অভিযোগ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এনিয়ে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই খবরকে ভুয়ো বলে জানিয়ে দিলেন তরুণীর ভাই।
আরও পড়ুন-এখানেও চালু করব এনআরসি, হুঁশিয়ারি দিল্লি বিজেপি প্রধান মনোজ তিওয়ারির
অপহৃত তরুণী জগজিত্ কউরের ভাই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘বোন ঘরে ফেরেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়োতে দেখানো হচ্ছে আমার বোনকে আমাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই ভিডিয়োটি জাল। বোনের কোনও খবর আমরা এখনও জানি না। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, সেনা প্রধান ও পঞ্জাবের গভর্নরের কাছে অনুরোধ আমাদের পরিবারের প্রতি ন্যায় বিচার করুন।’
Brother of Sikh girl who was allegedly abducted and converted to Islam in Pakistan: Our sister has not been returned to us till now, these reports are wrong,neither arrests made yet. I appeal to PM Imran Khan,Army Chief and Punjab Governor to ensure justice to us. pic.twitter.com/zjIvpFv3k9
— ANI (@ANI) August 31, 2019
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার শহরের নানকানা সাহিবের বাসিন্দা জগজিত্ কউর নামে ওই তরুণীকে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করা হয়। তার বিয়ে দেওয়া হয় এক মুসলিম তরুণের সঙ্গে। যে তরুণের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে দেওয়া হয়।
অপহরণের ঘটনার পর মেয়েকে ফিরে পেতে ইমরান খান ও দেশের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন কেন তরুণীর বাবা ভগবান সিং। জগজিতের ভাই সুরিন্দর সিং সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘একদল লোক জোর করে আমাদের ঘরে ঢুকে আমার ছোট বোনকে তুলে নিয়ে যায়। ওকে মারধর করে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করেছে ওরা।’
আরও পড়ুন-অসমে প্রকাশিত হল নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত তালিকা, বাদ পড়ল ১৯ লক্ষের নাম
সুরিন্দর সিং আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছিলাম। পুলিসের ওপরতরলার অনেকের কাছেই গিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। উল্টে এলাকার দুষ্কৃতীরা আমাদের বাড়িতে এসে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যায়।’