রমনার মামলায় বাংলাদেশে ৮ জনকে ফাঁসির আদেশ
রমনার মামলায় বাংলাদেশে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০০১ সালে বাংলাদেশের নববর্ষের অনুষ্ঠানে জঙ্গি হামলায় অভিযুক্ত আটজনের ফাঁসির হুকুম দিল ঢাকা জজ কোর্ট। ছজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুহাজার একে ঢাকার রমনা বটমূলে নববর্ষের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিগোষ্ঠী, হরকত উল জিহাদি ইসলামি বা হুজি। জঙ্গি হামলায় বহু মানুষের প্রাণহানি হয়। তেরো বছর পর ওই মামলার রায় দিল ঢাকা জজ কোর্ট। হুজি কমান্ডার মুফতি হান্নান সহ আটজনের ফাঁসির হুকুম দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হান্নান, আকবর ও আরিফ বোমা হামলার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
পলাতক রয়েছেন মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই।
২০০১ সালে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে বোমা মেরে হত্যা করা হয় ১০ জনকে। হুজির শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৪ জঙ্গিকে এ মামলার আসামি করা হয়েছিল।
মামলার বিবরণে বলা হয়, পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান ‘ইসলামবিরোধী’ বিবেচনা করে ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন।
এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। হত্যা মামলায় রায় ঘোষণায় দিন ছিল সোমবার। অন্য মামলাটি ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।
ঘটনার প্রায় আট বছর পর ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। দুটি মামলায়ই ১৪ জন আসামির মধ্যে নয়জন বর্তমানে জেলবন্দি।