গণতন্ত্রের দাবিতে উত্তাল মায়ানমারে মৃত্যু ১০ আন্দোলনকারীর
আগামী শুক্রবার মায়ানমারের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে বিশেষ বৈঠক ডেকেছে ব্রিটেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তাল হয়ে রয়েছে মায়ানমার। সেখানকার নানা শহরে চলছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। সেনার হাতে ক্ষমতা চান না সে দেশের সাধারণ মানুষ। তাঁরা চান দেশে দ্রুত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক।
বৃহস্পতিবার সেনা-পুলিসের যৌথ অভিযানে ফের রক্তাক্ত (bloodshed) হল মায়ানমারের (Myanmar) বিভিন্ন শহর। আজ সেনার (military) চোখরাঙানি উপেক্ষা করে ফের মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। সেই মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কয়েকটি শহরে ফের গুলি চালায় পুলিস। কোথাও কোথাও রাবার বুলেট আর কাঁদানে গ্যাসও ছোড়া হয়েছে। আজকের পুলিসি অভিযানে (massacre) মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে দশ জন বিক্ষোভকারীর। আহত অনেকে।
আরও পড়ুন: রক্তাক্ত মায়ানমার; সেনা বিরোধী জনতার বিক্ষোভে গুলি, হত ১৮
সেনা অভ্যুত্থানের (military's overthrow of the elected government of Aung San Suu Kyi) বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই গর্জে উঠেছেন মায়ানমারের সাধারণ মানুষ। সে দেশের সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশও অসহযোগ আন্দোলন চালাচ্ছেন। আঙ সাং সু কি-সহ গৃহবন্দি সব নেতানেত্রীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভকারীরা। সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক সরকারকে (Democratic Govt) ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতেও চলছে আন্দোলন।
আগামী শুক্রবার মায়ানমারের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে রাষ্ট্রপুঞ্জের (UN) নিরাপত্তা পরিষদে বিশেষ বৈঠক ডেকেছে ব্রিটেন। অবিলম্বে সেনাকে যাবতীয় অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারিরও দাবি উঠেছে।
আরও পড়ুন: ইতালিতে প্রাচীন রথ! পম্পেই নিয়ে স্তম্ভিত পুরাতত্ত্ববিদেরা