মুম্বই সন্ত্রাসের তদন্ত রিপোর্ট খারিজ পাক আদালতে
হাফিজ মহম্মদ সইদকে রেহাই দেওয়া হয়েছিল আগেই। এবার ২৬/১১ সন্ত্রাসের তদন্তে নিয়োজিত তদন্ত কমিশনের রিপোর্টকে `অবৈধ` বলে খারিজ করে কার্যত মুম্বই সন্ত্রাসের নেপথ্যচক্রীদের মুক্তির পথ প্রশস্ত করল রওয়ালপিণ্ডির এক নম্বর সন্ত্রাস দমন আদালত।
হাফিজ মহম্মদ সইদকে রেহাই দেওয়া হয়েছিল আগেই। এবার ২৬/১১ সন্ত্রাসের তদন্তে নিয়োজিত তদন্ত কমিশনের রিপোর্টকে `অবৈধ` বলে খারিজ করে কার্যত মুম্বই সন্ত্রাসের নেপথ্যচক্রীদের মুক্তির পথ প্রশস্ত করল রওয়ালপিণ্ডির এক নম্বর সন্ত্রাস দমন আদালত। আর সেই সঙ্গেই নতুন করে প্রশ্ন উঠল, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বিচারবিভাগের দায়বদ্ধতা নিয়ে।
আমেরিকা ও ভারতে ঘুরে বিভিন্ন তথ্য পরীক্ষার পর পেশ করা ৮ সদস্যের তদন্ত কমিশনের তৈরি রিপোর্টে ২০০৮ সালে নভেম্বরে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীতে হামলায় দায়ে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার জাকিউর রহমান লাকভি-সহ মোট ৭ জনকে দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এর সত্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে রওয়ালপিণ্ডির সন্ত্রাসদমন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জাকিউর রহমান লাকভি। এদিন বিচারক চৌধুরি হাবিব-উর-রহমান স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, মুম্বই সন্ত্রাসের তদন্তে গঠিত কমিশনের রিপোর্ট অবৈধ।
আদালতের মতে, চলতি বছরের মার্চ মাসে মুম্বইতে গিয়ে কমিশনের সদস্যরা ২৬/১১ নাশকতার একমাত্র জীবিত জঙ্গি আজমল কাসভকে জেরা করারও সুযোগ পায়নি। তাই তাজ প্যালেস-নরিম্যান হাউস-ওবেরয় ট্রাইডেন্ট জুড়ে ৬০ ঘণ্টার জঙ্গি তাণ্ডব ও ১৬৭ জনের মৃত্যু সম্পর্কিত তদন্ত রিপোর্টকে কোনওভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন করে তদন্ত কমিশন গঠন করে ভারতে পাঠিয়ে অভিযুক্ত কাসভকে জেরার জন্য কূটনৈতিক স্তরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার পক্ষেও মত প্রকাশ করেছে আদালত। আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত এই মামলার শুনানি মুলতুবি রেখেছেন বিচারক হাবিব-উর-রহমান।