টানা ৪ দিন ধরে ধর্ষণ করে ১৬ বছরের মেয়েকে খুন করল 'ভূত'
১৯৮৩ সালে হলিউডে তৈরি হয়েছিল ভূতের ছবি 'দ্য এন্টিটি'। পরবর্তীকালে এই ছবিরি অনুকরণে বলিউড বানায় 'হাওয়া'। ছবির মূল চরিত্র সঞ্জানায় অভিনয় করেছিলেন তাব্বু। এই ছবিতে সঞ্জানাকে একা পেয়ে দিনের পর দিন ধর্ষন করত এক 'ইভিল স্পিরিট'। পাকিস্তানের ১৬ বছরের মেয়েটির সঙ্গে যে নির্মম ঘটনা ঘটেছে তার ব্যাখ্যাও কিছুটা এরকম।
ওয়েব ডেস্ক: ১৯৮৩ সালে হলিউডে তৈরি হয়েছিল ভূতের ছবি 'দ্য এন্টিটি'। পরবর্তীকালে এই ছবিরি অনুকরণে বলিউড বানায় 'হাওয়া'। ছবির মূল চরিত্র সঞ্জানায় অভিনয় করেছিলেন তাব্বু। এই ছবিতে সঞ্জানাকে একা পেয়ে দিনের পর দিন ধর্ষন করত এক 'ইভিল স্পিরিট'। পাকিস্তানের ১৬ বছরের মেয়েটির সঙ্গে যে নির্মম ঘটনা ঘটেছে তার ব্যাখ্যাও কিছুটা এরকম।
বেশ কিছুদিন ধরেই পেটের ব্যথা ও মানসিক সমস্যায় ভুগছিল পাকিস্তানের মেয়ে সারা। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে বাড়ির লোক মনে করে সারাকে ভূতে ধরেছে। তাই মেয়েটির ঘাড় থেকে ভূত নামানোর জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটু দূরের গ্রামের এক পীর, জিন্দওয়াড়ার কাছে। পীরবাবা চারদিন সারাকে তাঁর কাছে রেখে যাওয়ার বিধান দেন। চারদিন পর পীরবাবা যখন সারাকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় তখন আর তার শরীরে প্রাণ ছিল না। জিন্দওয়াড়া বলেন, এক দুষ্ট আত্মা দখল করেছিল সারার শরীর। সেই আত্মা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তার হাত থেকে সারাকে বাঁচাতে পারেননি পীর বাবা।
পীরবাবার এই ব্যাখ্যাকে ভগবানের ইচ্ছা বলে বাবা-মা মেনে নিলেও মেনে নিতে পারেননি সমাজকর্মী ড: ওয়াইরাম। তিনি তদন্তের দাবি করেন। আর সেই তদন্তে জানা যায়, সারার ওপর ভর করা 'দুষ্ট আত্মা' আর কেউ নন স্বয়ং পীর বাবা। টানা চার দিন ধরে নির্মম ভাবে ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। অসুস্থ শরীরে এত অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হয় । সারার মৃত্যু যে 'ভূত'-এর হাতেই হয়েছে তা প্রমাণ করার জন্য মটকে ভেঙে দেয় মেয়েটির ঘাড়। শুনতে অবাক লাগলেও এই ঘটনা প্রথম নয়, এমন ঘটনা বিভিন্ন দেশে হররোজ ঘটে চলেছে।