১১৩ বছর বয়সে করোনাকে দশ গোল দিলেন "নোভেল" জয়ী মারিয়া
স্পেন থেকেই স্বচক্ষে দেখেছেন স্প্যানিশ ফ্লুর মতো ভয়ানক মহামারী। তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলিতে রয়েছে স্পেনের গৃহযুদ্ধ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বয়স হলেই নাকি করোনা ঘাড় মটকায়...মৃত্যু একদম নিশ্চিত! ৭০ থেকে একশো তো কথাই নেই। করোনা শরীরে ঢুকলে, মৃত্যুকে সঙ্গে নিয়েই বেরবে। পরিসংখ্যান অন্তত তাই বলছে। কিন্তু একশো পেরলে? মানে এই ধরুন কারোর বয়স একশোর উপর, তাঁর ক্ষেত্রে কি হবে? চিকিত্সকরা হয়তো বলবেন, আরও দ্রুত মৃত্যু ঘনিয়ে আসার আশঙ্কা! আজ্ঞে না, সে ক্ষেত্রে অনুমান ভুলও হতে পারে। যেমনটা হয়েছে মারিয়া ব্রানয়াসের ক্ষেত্রে।
এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক "নোভেল" জয়ী ব্যক্তি মারিয়া ব্রানয়াস। ১১৩ বছর বয়সেও করোনা কাত করে আশা জোগাচ্ছেন জন্মসূত্রে আমেরিকার এই বৃদ্ধা। মারণ ভাইরাসের জেরে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারানোর বয়স্করাই। তবে ব্যতিক্রমী মারিয়া।
বিগত ২০ বছর ধরেই মারিয়ার ঠিকানা ওলটের 'সান্টা মারিয়া দেল তুরা' কেয়ার হোম। এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয় একশো উর্ধ্ব এই বৃদ্ধার শরীরে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আইসোলেশনে রাখেন কেয়ার হোম কর্তৃপক্ষ। তাতেই কেল্লাফতে। উলট পুরাণ লিখে একেবারে সুস্থ মারিয়া। কেয়ার হোমের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি সুস্থ রয়েছেন এবং গত সপ্তাহে করোনা পরীক্ষায় তার নেগেটিভ ফল এসেছে। আমেরিকার এই কেয়ার হোমে করোনা আক্রান্ত হয়ে এর আগে প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে, তবে ব্যতিক্রমের নাম মারিয়া। তাঁর এই দীর্ঘ জীবনের রহস্য সম্বন্ধে তিনি জানিয়েছেন, শরীরের দৈনন্দিন খেয়াল রাখেন।
আরও পড়ুন:এক হাঁচিতে সর্বনাশ! মর্মান্তিক পরিণতি হল রেলকর্মীর
মারিয়ার মেয়ে রোজার কথা অনুযায়ী, মা একেবারে স্বাভাবিক। তিনি ফের কথা বলছেন। ১৯০৭ সালের ৪ মার্চ সান ফ্রান্সিসকোতে জন্মেছিলেন তিনি। তারপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় নৌকা করে পাড়ি দিয়েছিলেন স্পেনে। স্পেন থেকেই স্বচক্ষে দেখেছেন স্প্যানিশ ফ্লুর মতো ভয়ানক মহামারী। তাঁর অভিজ্ঞতার ঝুলিতে রয়েছে স্পেনের গৃহযুদ্ধ। করোনার ফলে যখন শুধুমাত্র স্পেনেই মৃত্যুর সংখ্যাটা ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে তখনও অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরেই মহামারীর সঙ্গে যুঝেছেন বৃদ্ধা।