ব্রিস্টলের রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মানুষের বর্জ্য চালিত বায়ো-বাস

১৯ নভেম্বর থেকে বাথ থেকে ব্রিস্টল এয়ারপোর্ট পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে ছুটছে বায়ো বাস। কিন্তু কত বাসই তো ওই পথ ধরে রোজ চলছে ফিরছে। তাহলে কেন অভিনব এই বায়ো-বাস। আসলে এই বায়ো বাস চলে বায়োমিথেনের সাহায্যে। মানুষের বর্জ্যপদার্থ আর ফেলে দেওয়া খাবার থেকেই তৈরি হয় এই গ্যাস।

Updated By: Nov 22, 2014, 09:46 PM IST
 ব্রিস্টলের রাস্তা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মানুষের বর্জ্য চালিত বায়ো-বাস

ওয়েব ডেস্ক: ১৯ নভেম্বর থেকে বাথ থেকে ব্রিস্টল এয়ারপোর্ট পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে ছুটছে বায়ো বাস। কিন্তু কত বাসই তো ওই পথ ধরে রোজ চলছে ফিরছে। তাহলে কেন অভিনব এই বায়ো-বাস। আসলে এই বায়ো বাস চলে বায়োমিথেনের সাহায্যে। মানুষের বর্জ্যপদার্থ আর ফেলে দেওয়া খাবার থেকেই তৈরি হয় এই গ্যাস।

মানুষের বর্জ্য থেকে বায়োমিথেন তৈরির কাজটা করছে স্থানীয় কোম্পানি জেনেকো। জেনেকো-এর মহম্মদ সাদিক জানিয়েছেন ''গ্যাস চালিত যান বাহন ব্রিটেনের শহরগুলিতে বায়ুদূষণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। কিন্তু বায়োবাসের মজাটা অন্য জায়গায়। স্থানীয় লোকজনের বর্জ্য থেকেই এই বাস চলবে। এমনকি বাসযাত্রীরাও বাসে বসেই জ্বালানীর যোগান দিতে পারবেন।'' পরিবেশ বান্ধব এই বাস শুধু পরিবেশ দূষণই রোদ করবে না, এই বাসেই রয়েছে শৌচালয়। ফলে, তলপেটে টান পড়লেই সেরে ফেলা যাবে কাজও।  

বাস কোম্পানির আধিকারিক ক্লিন ফিল্ড আশা করেছেন এই বাসের কল্যাণে শীঘ্রই ব্রিটেনের সবুজ রাজধানী হবে ব্রিস্টল।

৪০টি সিট বিশিষ্ট এই বাস এক ট্যাঙ্ক ভর্তি গ্যাসে পাড়ি দিতে পাড়ে ১৮৬ মাইল। পাঁচ জনের বার্ষিক বর্জ্যপদার্থ থেকে এক ট্যাঙ্ক গ্যাসের যোগান হয়ে যায়। আশা করা হচ্ছে মাসে অন্তত ১০,০০০ মানুষ এই বাসের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

এখন বাথ থেকে ব্রিস্টল এয়ারপোর্ট পর্যন্ত এই বাসের গন্তব্যসীমা হলেও, খুব তাড়াতাড়ি অন্য রুটেও ছুটতে দেখা যাবে বায়োবাস-কে।

 

 

.