Hakuto-R lander: চাঁদের মাটিয়ে গুঁড়িয়ে গেল আরেক চন্দ্রযান! মানুষের যাওয়া কি আদৌ সম্ভব হবে?
চাঁদের মাটিতে একাধিক কাজ হলেও চন্দ্রপৃষ্ঠে ল্যান্ড করার সময় একাধিক বিপদ ওৎ পেতে থাকে। সাম্প্রতিক নিদর্শন ভারতেরই। সামান্য ভুলের ক্ষমা নেই সেখানে। মুহূর্তে ছাই হয় প্রাণ কিংবা যান। অথচ অজানার চেষ্টাও তো দমিয়ে রাখা যায় না। তাই চেষ্টাই চলতেই থাকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অজানাকে জানার নেশায় মানুষ ছুটে ছুটে যায়, তা সে জলে হোক, স্থলে হোক কিংবা অন্তরীক্ষে। যদিও মহাকাশের জন্য একটি কথাই খাটে, তা হল- This is space. It does not cooperate। সামান্য ভুলের ক্ষমা নেই সেখানে। মুহূর্তে ছাই হয় প্রাণ কিংবা যান। অথচ অজানার চেষ্টাও তো দমিয়ে রাখা যায় না। তাই চেষ্টাই চলতেই থাকে। কিন্তু সম্প্রতি জাপানের পাঠানো ল্যান্ডার যেভাবে চাঁদের মাটিতে মুখ থুবরে পড়ে ভাঙল, তা থেকে এটা স্পষ্ট যে চন্দ্র অভিযান 'ঠিক ততটা সহজ নয়'।
আরও পড়ুন, UFO: দিনের আকাশে ঘুরছে UFO, ভিনগ্রহীদের যানের ভিডিও শেয়ার করল আমেরিকা
চাঁদের মাটিতে একাধিক কাজ হলেও চন্দ্রপৃষ্ঠে ল্যান্ড করার সময় একাধিক বিপদ ওৎ পেতে থাকে। সাম্প্রতিক নিদর্শন ভারতেরই। চন্দ্রযান-২ এর লক্ষ্য ছিল চাঁদের মাটিতে নেমে ভূমি পরীক্ষা করার। কিন্তু সফট ল্যান্ডিংয়ের বদলে হার্ড ল্যান্ডিং হতেই ১৪১ কোটি ভারতবাসীর স্বপ্ন অধরা থেকে যায়। প্রাথমিকভাবে সেটির খোঁজ পাওয়া না গেলেও পরে নাসার স্যাটেলাইট একটি ছবি পাঠায় যেখানে দেখা যায় ধ্বংসাবশেষের মতো পরে রয়েছে সেটি।
পরিসংখ্যান বলছে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের মাত্র ৩টি দেশ চাঁদে অবতরণ করতে সফল হয়েছে। ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে মিশনটি নিয়ন্ত্রণ করে অনবোর্ড কম্পিউটার, অটোমেটেড যোগাযোগ ব্যবস্থা, নেভিগেটেড ল্যান্ডার। জাপানের মহাকাশযানটি মঙ্গলবার রাতেই চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে বলে আশা করা হচ্ছিল। জাপানের এই ল্যান্ডারের নাম ছিল হাকুতো–আর এম১।
জাপানি কোম্পানি আইস্পেসের তৈরি হাকুতো–আর এম১ ল্যান্ডারে ছিল টেনিস বল আকৃতির একটি রোবট এবং অনুসন্ধানী রোভার। আইস্পেসের আশা ছিল ল্যান্ডারটি চাঁদে অবতরণ করে সেখানে এই রোভার মোতায়েন করতে সফল হবে। চাঁদের উত্তর গোলার্ধে অবতরণের পরই সেখানকার মাটি, ভূপ্রকৃতি এবং বায়ুমন্ডল পরীক্ষার জন্য দুটি পেলোড বা স্যাটেলাইট মোতায়েনেরও কথা ছিল।
এদিকে, পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় পরে আবার চন্দ্রাভিযানে যাচ্ছে মানুষ - আর কারা যাচ্ছেন সেই অভিযানে, তাদের নাম ঘোষণা করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। চাঁদের বুকে শেষবার মানুষ নেমেছিল ১৯৭২ সালে। যদিও পর পর চন্দ্রযান ধ্বংসের ঘটনা নয়া চিন্তা তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন, Kolkata Police: খরচ ১৫ কোটি, অপরাধ দমনে অনলাইন নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করছে কলকাতা পুলিস