Sunspot Cycle: ক্রমশ তেতে উঠছে সূর্য, বাড়ছে সৌর বিস্ফোরণ! সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছল অনলশিখা
স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার অনুসারে জুন মাসে, সৌর পৃষ্ঠে ১৬৩টি সানস্পট দেখা গেছে। জুনে যে সানস্পট দেখা গিয়েছিল তা যে কোনও মাসের থেকে অনেকটাই বেশি। আর এই সূর্যের উপর দাগের কারণে Coronal Mass Ejection হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সূর্যের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে সানস্পটের (Sunspot) সংখ্যা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন সূর্যের এই সানস্পটের সংখ্যা বিগত ২১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে এতে কি বিপদে পড়তে পারে পৃথিবী? সৌরমণ্ডলের অধিপতির অভ্যন্তরে অনবরত বিস্ফোরণ ঘটেই চলে। সূর্যের পরিমণ্ডলে তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণে হয় তীব্র বিস্ফোরণ। সেই সানস্পট থেকে শক্তিশালী সৌরশিখা বিকিরণ হতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন, Science News: ভারত মহাসাগরে লুকিয়ে বিশাল 'Gravity Hole', ছবি দেখে বিস্মিত বিশ্ব
স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার অনুসারে জুন মাসে, সৌর পৃষ্ঠে ১৬৩টি সানস্পট দেখা গেছে। AR3341 সানস্পটে একটি শক্তিশালী সৌর শিখা দেখা গেছে। তবে ২০২৫ এর মধ্যে সৌরশিখার প্রাবল্য আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৯ এর ডিসেম্বর থেকে অশান্ত হয়েছে সূর্য। আগের থেকেও সানস্পট বৃদ্ধি হয়েছে অনেকটাই। একটানা গত ২৮ মাস ধরে সানস্পটের সংখ্যা পূর্বাভাসের থেকেও বৃদ্ধি পেয়েছে।
জুনে যে সানস্পট দেখা গিয়েছিল তা যে কোনও মাসের থেকে অনেকটাই বেশি। তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেছেন এরপর আসন্ন শিখরটি আরও সক্রিয় হবে। দ্রুত গতিতে বেড়ে চলা এই দাগ-এর আকার কেবল ২৪ ঘন্টায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এতে পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ডের ওপর প্রভাব পড়বে।
সূর্যের উপর দাগের কারণে Coronal Mass Ejection হয়। অর্থাৎ সূর্যের উপর এক ধরনের বিস্ফোরণ অন্তরীক্ষে কয়েক লাখ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে এক আরব সমান পার্টিকেলস ছিটকে বের হয়। এই পার্টিকেলসের অংশ যখন পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খায়, তখন স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক, জিপিএস সিস্টেম, স্যাটেলাইট টিভি এবং রেডিও তরঙ্গ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
এদিকে এই সানস্পটের জন্য জিও ম্যাগনেটিক ঝড় আসতে চলেছে। যাকে বৈজ্ঞানিকদের ভাষায় এম ক্লাস এবং এক্স ক্লাস এর ফ্লেয়ারস বলা হয়। সবচেয়ে মজবুত বর্গের ফ্লেয়ার্স, কারণ এই সময় সূর্য অ্যাকটিভ রয়েছে, যা আগামী 8 মাস পর্যন্ত থাকবে। এই কারণে সৌরঝড়ের আশঙ্কা বাড়তে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন, Background Hum: মহাকাশেরও নিজস্ব সুর রয়েছে! ব্রহ্মাণ্ডের সেই 'শব্দ' শুনলেন বিজ্ঞানীরা