Rings of Saturn: বলয় হারাচ্ছে শনি! মহাজাগতিক ইতিহাসে বড় পরিবর্তনের আশঙ্কা
শনিকে বেষ্টন করে যে বলয় রয়েছে তা শনিকে গ্রহমণ্ডলে এক নিজস্বতা দিয়ে রেখেছে। দূর থেকে আদতে যা দেখতে বলয় মনে হয় তা কিন্তু ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ খণ্ড খণ্ড পাথরের ঘূর্ণন অবস্থা। শনির মাধ্যাকর্ষণে বলয় আকারে কোটি কোটি পাথরখণ্ড ঘুরে চলেছে অবিরাম যা এমন বলয়ের মতো দেখায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সৌরমণ্ডলের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। বিশালত্ব কিংবা ব্যতিক্রমী সব গুণই রয়েছে পৃথিবী থেকে দেড় বিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত শনি গ্রহে। হাবল টেলিস্কোপ কিংবা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ দিয়ে শনির ওপর নজর রাখা গেলেও শনিতে প্রবেশের দুঃসাহস দেখাননি বিজ্ঞানীরা। কারণ শনির 'আইকনিক বলয়'। শনিকে বেষ্টন করে যে বলয় রয়েছে তা শনিকে গ্রহমণ্ডলে এক নিজস্বতা দিয়ে রেখেছে। দূর থেকে আদতে যা দেখতে বলয় মনে হয় তা কিন্তু ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ খণ্ড খণ্ড পাথরের ঘূর্ণন অবস্থা।
শনির মাধ্যাকর্ষণে বলয় আকারে কোটি কোটি পাথরখণ্ড ঘুরে চলেছে অবিরাম যা এমন বলয়ের মতো দেখায়। সেই বলয় ভেদ করে শনিতে প্রবেশের ক্ষমতা পৃথিবীর বিজ্ঞানের হয়নি। কিন্তু এবার সেই বলয়ই হারিয়ে যাচ্ছে! ধীরে ধীরে বলয়টি যেন অদৃশ্য হয়ে পড়ছে। বলয়ের যে ঘনত্ব ছিল তা অনেকটাই কমেছে বলে মত বিজ্ঞানীদের। ডঃ জেমস ও'দোনোঘু একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাঁরা এই বলয় হ্রাসের কারণ খুঁজতে ব্যস্ত বর্তমানে।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, শনির বলয় শনির নিজস্ব। কোনও বহির্বিশ্বের প্রভাব সেখানে নেই। প্রায় ১০০ মিলিয়ন বছর পুরোনো এই কাঠামো। কিন্তু কেন তা অদৃশ্য হচ্ছে হঠাৎ করে সেই প্রশ্নের উত্তরই খুঁজে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। এর উত্তর পেতে অবশ্য মহাকাশবিজ্ঞানীদের ভরসা অত্যাধুনিক মানের টেলিস্কোপ জেমস ওয়েবের ওপর। সম্প্রতি ব্ল্যাক হোলের ছবি পাঠিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল এই টেলিস্কোপ। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন শনির বলয়ে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কি না সে বিষয়টিকেই তাঁরা প্রাধান্য দিচ্ছে।
শনি গ্রহের এই বলয় মূলত ধূলিকণা, পাথরের টুকরো এবং বরফের ছোট ছোট টুকরো দিয়ে তৈরি । ব্যাস প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মাইল। এই দীর্ঘ প্রথম অতিক্রম করে মিথেন গ্যাসের ভাণ্ডার শনিতে মানুষের পদধূলি পড়েনি। তবে মিশন পায়োনিয়র-১১, ভয়েজার ১-২, ক্যাসিনির মতো নভোযান পাঠানো হয়েছিল আগে।
আরও পড়ুন, SpaceX rocket lanuch: উৎক্ষেপণের পরই আকাশে চুরমার SpaceX, মহাকাশযানের ভাঙা টুকরোয় আবহাওয়া বদল!