শুভেচ্ছা বার্তার আড়ালে ইসরোকে বিদ্রুপ নাসার! সমালোচনা নেটিজেনদের
শুভেচ্ছাবার্তার আড়ালে 'পোড়া গন্ধ' পাচ্ছেন নেটিজেনরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : চন্দ্রযান-২-এর সফল উত্ক্ষেপণে টুইট করে শুভেচ্ছা জানাল নাসা। কিন্তু সেই শুভেচ্ছাবার্তার আড়ালে 'পোড়া গন্ধ' পাচ্ছেন নেটিজেনরা। নাসার টুইট ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সোমবার সফল উত্ক্ষেপণের পর মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে যায় চন্দ্রযান-২। তার পরেই বিভিন্ন মহল থেকে ভেসে আসে শুভেচ্ছাবার্তা। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাও টুইট করে ইসরোকে অভিনন্দন জানায়। কিন্তু তাদের বার্তায় প্রচ্ছন্ন কটাক্ষ রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
ইসরোকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নাসা লেখে, গবেষণার স্বার্থে চন্দ্রযান-২-এর সফল উত্ক্ষেপণের জন্য ইসরোকে অভিনন্দন। আমাদের ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক দিয়ে পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। চাঁদের দক্ষিণ মেরু সম্পর্কে তোমরা কী তথ্য পাও সেই দিকেই তাকিয়ে নাসা। ওই দক্ষিণ মেরুতেই আমরা আর কয়েক বছরের মধ্যে মহাকাশচারী পাঠাতে চলেছি।
Congrats to @ISRO on the launch of Chandrayaan 2, a mission to study the Moon. We're proud to support your mission comms using our Deep Space Network and look forward to what you learn about the lunar South pole where we will send astronauts on our #Artemis mission in a few years pic.twitter.com/dOcWBX3kOE
— NASA (@NASA) July 22, 2019
নাসার এই টুইট আপাতদৃষ্টিতে সামন্য শুভেচ্ছা বার্তা বলে মনে হলেও এর মধ্যে অন্য মানে খুঁজছেন ভারতীয় নেটিজেনরা। এই টুইটের জোরালো প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তাঁরা। নেটিজেনদের অভিযোগ, অভিনন্দন জানানোর আড়ালে আসলে চন্দ্রযান-২-এ নিজেদের অবদান তুলে ধরতে চাইছে নাসা। পাশাপাশি, আর্টেমিস অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে ভারতীয় প্রযুক্তিকে হেয় করা হচ্ছে। তাঁদের মতে, ভারত যেখানে যান পাঠাচ্ছে সেখানে মহাকাশচারী পাঠিয়ে নিজেদের শক্তির প্রকাশ করতে চাইছে নাসা।
NASA: When we are successful, we talk about our success.
NASA: When others are successful, we boast our capabilities.— Sreejan Alapati (@SreejanAlapati) July 22, 2019
প্রসঙ্গত, মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার তুলনায় প্রায় ২০ গুণ কম বাজেট ইসরোর। চন্দ্রযান হোক বা মঙ্গলযান- নাসার থেকে অনেক কম বাজেটেই এসেছে সাফল্য। ২০০৮ সালে চন্দ্রযানই হোক বা ২০১৪-এর মঙ্গল অভিযান, সীমিত বাজেটে সাফল্য এসেছে বার বার। মঙ্গলযানের ক্ষেত্রে খরচ হয়েছিল প্রায় ৫০৭ কোটি টাকা। নাসার কিউরিসিটি মিশনে খরচ হয় প্রায় ৪,৬০০ কোটি টাকা। মঙ্গলযানের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর এস অরুণান বলেন,"মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় প্রায় দশ ভাগের এক ভাগ খরচে মঙ্গলে পৌঁছে গিয়েছে ভারত।"
Just give the #Artemis mission to ISRO....ISRO will finish the mission for half the money...So you can use the remaining money to make a movie about the mission...
as usual without mentioning India's contribution to your projects....— Earth Lover (@VenkatesKvnr) July 23, 2019
চন্দ্রযান-২-এর মতো কঠিন মিশনেও খরচের দিক মাথায় রেখেছে ইসরো। চন্দ্রযান-২-এর জন্য খরচ প্রায় ৯৮৩ কোটি টাকা। এই অঙ্কে অ্যাভেঞ্জার সিনেমা হয়েছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই অঙ্ক নেহাতই কম। একই ধরনের অভিযানে অন্তত দশ গুণ বেশি খরচ করে অন্যান্য দেশের মহাকাশ সংস্থা।
কম বাজেটেই সাফল্যের দিকটিও তুলে ধরেছেন নেটিজেনরা। অন্য দেশ থেকে টাকা দিয়ে কেনা প্রযুক্তি নয়, দেশীয় মেধা ও প্রযুক্তিতে ভর করেই এগিয়ে যাচ্ছে ভারত।