শুধু পৃথিবী নয়, চাঁদের উষ্ণায়নেও দায়ী মানুষই, বলছে গবেষণা
শুধু পৃথিবী নয়, চাঁদের উষ্ণায়নের জন্যও দায়ী মানুষ। এমনটাই দাবি করছেন মার্কিন গবেষকরা। তাঁদের মতে, মানুষের অবতরণের ফলে তাপমাত্রা বেড়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুধু পৃথিবী নয়, চাঁদের উষ্ণায়নের জন্যও দায়ী মানুষ। এমনটাই দাবি করছেন মার্কিন গবেষকরা। তাঁদের মতে, মানুষের অবতরণের ফলে তাপমাত্রা বেড়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠের।
মানুষের কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজকর্মে ক্রমশ বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। যার ফলে গলছে মেরুর বরফ। ক্রমশ অস্থির হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। অনেক চেষ্টাতেও বিশ্বউষ্ণায়নের এই বিপদকে এখনো রুখতে পারেনি পৃথিবীর তাবড় দেশ। তাই বলে চাঁদের উষ্ণায়নেও দায়ী মানুষ? প্রাথমিকভাবে অবাস্তব মনে হলেও গবেষকরা বলছেন এটাই সত্যি। চাঁদের পৃষ্ঠে বসানো তাপ সংবেদী যন্ত্রের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁরা।
অ্যাপোলো ১৫ ও অ্যাপোলো ১৭ মিশনে চাঁদের পৃষ্ঠে ২টি প্রোব বসিয়েছিলেন মহাকাশকারীরা। ১৯৭১ সালে অ্যাপোলো ১৫ মিশনে প্রথম চাঁদের বুকে গাড়ি চালিয়েছিল মানুষ। আর ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭ মিশন ছিল চাঁদের মাটিতে শেষবার হেঁটেছিল মানুষ। গবেষকরা বলছেন, পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে অভিযানের পর চাঁদের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়েছে। কিন্তু কী কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে তা এতদিন ঠাহর করে উঠতে পারছিলেন না গবেষকরা।
গভীর মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে প্রথম ছবি পাঠাল কোনও কিউবস্যাট, কী আছে সেই ছবিতে?
সম্প্রতি হিউস্টনের লুনার অ্যান্ড প্ল্যানেটরি ইন্সটিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে, মানুষের চন্দ্রপৃষ্ঠে গতিবিধির জন্যই বেড়েছে তাপমাত্রা। চন্দ্রপৃষ্ঠের অধিকাংশ জায়গা ঢাকা পুরু ধুলোর আস্তরণে। মানুষের চলাচলের ফলে উপরের ধুলোর স্তর সরে বেরিয়ে পড়েছে নীচের কালো ধুলো। যা আরও বেশি আলোকশক্তি শোষণ করতে পারে। এর জেরেই বেড়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা।
নাসার তরফে জানানো হয়েছে, এই আবিষ্কার ভবিষ্যতে ভিনগ্রহে মানুষের অভিযান পরিকল্পনা করতে কাজে লাগবে।