পাবলিক প্লেসে ব্যাটারি চার্জ করলে হ্যাক হতে পারে ফোন, জেনে নিন কীভাবে

ইদানিং যদি আপনি আপনার ফোন অথবা ট্যাবলেট পাবলিক প্লেসে চার্জ করে থাকেন, তাহলে সতর্ক হয়ে যান। কারণ এয়ারপোর্ট, রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্টপ কিংবা ক্যাফের মতো  জায়গায় বসানো চার্জিং পয়েন্ট এখন হ্যাকার্সদের নিশানায়।

Updated By: Jan 20, 2020, 08:52 PM IST
পাবলিক প্লেসে ব্যাটারি চার্জ করলে হ্যাক হতে পারে ফোন, জেনে নিন কীভাবে
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন:  ব্যাটারি চার্জ করলেই ফোন হ্যাক। না চমকে গিয়ে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে লাভ নেই। এমনটাই হচ্ছে এখন দেশ দুনিয়ায়।  আপনারা যারা স্মার্টফোন অথবা ট্যাবলেট ব্যবহার করেন, তাঁরা মন দিয়ে এই প্রতিবেদনটি দেখুন। কারণ হতেই পারে আপনি ফোন চার্জে বসিয়েছেন আর অন্যদিকে আপনার মোবাইলে থাকা যাবতীয় তথ্য হ্যাকার্সদের কাছে চলে যাচ্ছে। ইদানিং যদি আপনি আপনার ফোন অথবা ট্যাবলেট পাবলিক প্লেসে চার্জ করে থাকেন, তাহলে সতর্ক হয়ে যান। কারণ এয়ারপোর্ট, রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্টপ কিংবা ক্যাফের মতো  জায়গায় বসানো চার্জিং পয়েন্ট এখন হ্যাকার্সদের নিশানায়।

বাড়ির বাইরে আপনার মোবাইলের চার্জ ফুরিয়ে গেলে আপনার মুখ শুকিয়ে যায়। কিন্তু সেই সময় হ্যাকার্সদের মুখে উজ্জ্বল হাসি ফুটে ওঠে। স্মার্টফোনের সাহায্যে হয়তো দুনিয়া আপনার হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। কিন্তু সেই স্মার্টফোনের মাধ্যমেই আপনার যাবতীয় ডেটা হ্যাকার্সদের হাতের মুঠোয় চলে যাচ্ছে। আর সেটা হচ্ছে আপনার অজান্তেই। পাবলিক প্লেসে ফোন চার্জে বসালে তো বিপদ রয়েছেই। চার্জ থেকে ফোন খুলে নিলেও কিন্তু বিপদ কমছে না। কারণ হ্যাকার্সরা চার্জিং পোর্টের মাধ্যমে আপনার ফোনের ওয়াইফাই অন করে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে পারে। আসলে হ্যাকার্সরা জুস জ্যাকিং বলে একটি প্রযুক্তির মাধ্যমে আপনার স্মার্টফোন অথবা ট্যাবলেট হ্যাক করছে। চার্জিং পয়েন্টে লাগানো চার্জিং কেবেলে যদি ভাইরাস থাকে তাহলে আপনার ফোনের ডেটার নিরাপত্তার কোনও গ্যারেন্টি নেই। পাবলিক চার্জিং পয়েন্টে যদি আপনি নিজের ফোনের কেবল দিয়েও চার্জ করেন তাহলেও আপনার ডিভাইসকে হ্যাক করা যেতে পারে। জুস জ্যাকিংয়ের মাধ্যমে দুভাবে আপনার ফোন থেকে হ্যাকার্সরা ডেটা চুরি করে থাকে...

আরও পড়ুন- সল্টলেকের রাস্তায় গড়াগড়ি যাচ্ছে সংরক্ষিত ৩০০ বছরের পুরনো মূর্তি

** পাবলিক চার্জিং পয়েন্টে লাগানো কেবলের মাধ্যমে আপনার ফোনে ম্যালওয়্যার কিংবা ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে দেয় হ্যাকাররা

** তারপর ক্রলার্স বলে এক ধরনের ডিজিটাল ভাইরাস আপনার ফোনে থাকা ব্যাঙ্ক, ক্রেডিট কার্ড অথবা ডেবিট কার্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চুরি করে হ্যাকার্সদের কাছে পাঠিয়ে দেয়

** কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এই ভাইরাস নিজের কাজ সেরে ফেলে

হ্যাকার্সদের কাছে আরেকটা পদ্ধতিও আছে ফোনের ডেটা চুরি করার। এই পদ্ধতিতে ফোনে ভাইরাস ঢুকিয়ে সঙ্গে-সঙ্গে ডেটা চুরি করা হয় না। আস্তে-আস্তে আপনার যাবতীয় তথ্য হ্যাকার্সরা সংগ্রহ করে নিজের মতো করে ব্যবহার করে। যেমন আপনি কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে দেখা করছেন, কি কথা বলছেন এই সব তথ্য হ্যাকার্সরা জেনে ফেলে। শুধু তাই নয় ভাইরাসের মাধ্যমে হ্যাক করে ফোনের ক্যামেরা, মাইক্রোফোন এমনকি জিপিএসও ব্যবহার করতে পারে হ্যাকার্সরা। ভাইরাসের মাধ্যমে আপনার  ফোন থেকে অন্য ব্যক্তিকে ফোন করতে পারে তারা। আপনার যাবতীয় ডেটা চুরি করে আপনার কাছে তোলাও চাইতে পারে হ্যাকার্সরা। এবার আপনার মনে প্রশ্ন উঠছে যে হ্যাকিংয়ের থেকে বাঁচার উপায় কি। সেক্ষেত্রে মোবাইল চার্জ করার ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।

** বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ফোন ফুল চার্জ করে বের হোন

** ফোন চার্জ না করতে পারলে সঙ্গে পাওয়ার ব্যাঙ্ক রাখুন

** সুইচ অফ করে চার্জ করাও নিরাপদ নয়। কারণ  ফ্ল্যাশ মেমোরির মাধ্যমে ফোন বন্ধ থাকলেও হ্যাকার্সরা ডেটা চুরি করতে পারে

** বিশেষ ধরনের ইউএসবি কেবল ব্যবহার করতে পারেন। এই কেবলগুলি ডেটা মোডকে কানেক্ট করে না। শুধু চার্জিং পিনকে পোর্টের সঙ্গে কানেক্ট করে।

কথায় আছে সাবধানতার মার নেই। একটু সতর্ক থাকুন। আর দিনে কয়েক ঘন্টা মোবাইল ছাড়া কাটান। দেখবেন বেশি সুখে থাকবেন।

.