জানুন, সিমকার্ডের মাধ্যমে কীভাবে চলছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিং!
আরও আধুনিক হয়েছে প্রতারণার ফাঁদ। আপনার একটি ভুল আপনাকে পথে বসাতে পারে। জেনে নিন কীভাবে চলছে প্রতারণা। আর সতর্ক থাকুন। স্মার্টফোনে গোটা দুনিয়া হাতের মুঠোয়! এবার আপনার একটু সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। প্রতারকরা যে কোনও সময় সিঁদ কাটতে পারে।
ওয়েব ডেস্ক : আরও আধুনিক হয়েছে প্রতারণার ফাঁদ। আপনার একটি ভুল আপনাকে পথে বসাতে পারে। জেনে নিন কীভাবে চলছে প্রতারণা। আর সতর্ক থাকুন। স্মার্টফোনে গোটা দুনিয়া হাতের মুঠোয়! এবার আপনার একটু সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। প্রতারকরা যে কোনও সময় সিঁদ কাটতে পারে।
কীভাবে কাজ সারছে প্রতারকরা?
১) অচেনা নম্বর থেকে ভুয়ো ফোন বা এসএমএস, সেই সব ফোনে নানা রকম প্রলোভন।
২) আপনি সেই এসএমএস-এর জবাব দিলে বা পাল্টা ফোন করলে, আপনার সিমের সব তথ্য উঠে যায় উল্টোদিকের সফটওয়্যারে।
৩) সেই সফটওয়্যারে থাকে সিমকার্ড রিডার। এতে একটি সিমকার্ডের তথ্য অন্য কার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। আপনার সিমের ক্লোন তৈরি করে ফেলা হয়।
৪) এই ফোন থেকে ফোন যায় আপনার ব্যাঙ্কে। অনলাইনে পাল্টে ফেলা হয় আপনার অ্যাকাউন্টের তথ্য। ভেরিফিকেশনের জন্য কোড চলে যায় প্রতারকের মোবাইলে।
৫) এই ক্লোন সিম ব্যবহার করে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিতে পারে প্রতারকরা।
আপনি টেরও পাবেন না। একদিন নজরে আসবে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পুরোটাই ফাঁকা। এর থেকে বাঁচবেন কীভাবে?
১) প্রলোভন দেওয়া এসএমএসের কোনও উত্তর দেবেন না।
২) কোনও অচেনা নম্বর থেকে ফোনে কেউ ব্যাঙ্ক বা ফোন সংক্রান্ত তথ্য চাইলে, দেবেন না।
৩) +92, +90 বা +09 দিয়ে শুরু কোনও নম্বর থেকে ফোন বা এসএমএস এলে, তাতে উত্তর দেবেন না।
৪) সোশ্যাল মিডিয়ায় ফোন নম্বর শেয়ার করবেন না।
৫) যদি কোনও সন্দেহ হয়, ব্যাঙ্কে গিয়ে আপনার যোগাযোগ নম্বরটি বদলে অন্য নম্বর দিন।
৬) ফোনে অ্যান্টি ভাইরাস সফ্টওয়্যার রাখুন, পাসওয়ার্ড করুন যত সম্ভব জটিল। আরও পড়ুন, পাসওয়ার্ড লাগবে না এই পাঁচটা জিনিস জানা থাকলে!