অ্যাপেলের স্মার্টঘড়ির ব্যাটারি জীবন ক্ষীণ, বলছে রিভিউ
কথা ছিল সাধারণ মানুষের জীবন আরও সহজ করে তোলার। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি বোধহয় রাখা হল না অ্যাপেলের 'স্টাইলিশ' স্মার্টঘড়ির। সমীক্ষা বলছে, এই নয়া গ্যাজেটের ব্যাটারির জীবনকাল অতি সংক্ষিপ্ত। অ্যাপ লোড হতেও সময় নিচ্ছে প্রচুর।
ওয়েব ডেস্ক: কথা ছিল সাধারণ মানুষের জীবন আরও সহজ করে তোলার। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি বোধহয় রাখা হল না অ্যাপেলের 'স্টাইলিশ' স্মার্টঘড়ির। সমীক্ষা বলছে, এই নয়া গ্যাজেটের ব্যাটারির জীবনকাল অতি সংক্ষিপ্ত। অ্যাপ লোড হতেও সময় নিচ্ছে প্রচুর।
টিম কুক অ্যাপেলের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম অ্যাপেলের আরও এক নয়া গ্যাজেট এল বাজারে। ২৪ এপ্রিল থেকে অ্যাপেল স্টোরেই মিলবে এই স্মার্টঘড়ি।
''এই মুহূর্তে এই ঘড়ি প্রবর্তকদের জন্যই তোলা থাক। যে মডেলটি আমরা দেখেছি তার জন্য হাজার ডলার খসাতে মোটেও রাজি নই। আগে এর মধ্যে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন আসুক, তারপর কেনার কথা ভেবে দেখা যাবে।'' ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে লিখেছেন জিওফ্রে ফোলার।
বুধবারই অ্যাপেলের বহু প্রতিক্ষীত এই স্মার্ট ঘড়ির রিভিউ বেরিয়েছে। রিভিউ অনুযায়ী খুব দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে এই ঘড়ির ব্যাটারি্। সাধারণ অ্যাপ লোড করতেও সময় নিচ্ছে প্রচুর।
এই গ্যাজেটে কোনও অ্যাপ লোড করতে শরণাপন্ন হতে হচ্ছে আই ফোনের।
আই ফোনের সঙ্গে জুড়ে দিলে এই ঘড়িতেই দিব্যি পড়ে নেওয়া যাবে ইমেল, শোনা যাবে গান, এমনকি রিসিভ করা যাবে ফোনও। ইউজারের হৃদস্পন্দন গোনার ক্ষমতাও রাখে এই গ্যাজেট।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিভিউ বলছে, এর সফটওয়ার বেশ জটিল। যারা টেক-নভিস, তাদের এই ঘড়ির এটা সেটা বুঝতে দম ফোরানোর সম্ভাবনা প্রবল।
৩৪৯ মার্কিন ডলার থেকে ১০,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত রেঞ্জে ঘোরাফেরা করবে এই স্মার্টঘড়ির দাম।
অ্যাপেলের স্বপ্নের প্রোডাক্ট। আত্মপ্রকাশের আগে হাইপ তুঙ্গে। অ্যাপেল লাভাররা বহুদিন ধরে মুখিয়ে রয়েছেন এই ঘড়িতে কব্জি ঝকমকিয়ে তোলার আশায়। কিন্তু রিভিউয়ের যা সুর, তাদের সেই আশার গুড়ে বস্তা বস্তা বালি পড়া বোধহয় সময়ের অপেক্ষা।