WB Panchayat Election 2023: বিশৃঙ্খলা থামাতে গুলি চালাল বিএসএফ, ভোট দিতে এসে মারাত্মক জখম যুবক
WB Panchayat Election 2023: এলাকার বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন জ্যোতিষপুরে অতর্কিতে আমাদের তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা চালায় বামপন্থী দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত হন আজাদ লস্কর। ক্যানিং হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেথান থেকে তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়
ভবানন্দ সিংহ: কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। উত্তজনাপ্রবণ বুথে তাদের যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএসএফের ডিজি। রাজ্যের একের পর এক হিংসায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে চাপ বাড়ায় গতকাল এমনটাই বলা হয়েছিল তাদের তরফে। তবে এর পাশাপাশি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে গতকাল গুলিও চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই গুলিতে আহত হয়েছেন এক যুবক। গতকাল ওই ঘটনা ঘটে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর থানা এলাকার একটি বুথে।
আরও পড়ুন-আটকে হাজার হাজার পুণ্যার্থী, ফের থমকে গেল অমরনাথ যাত্রা
জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম মহম্মদ হাসিবুল। গুলি লাগে তাঁর কাঁধে। এদিন হাসিবুল ভোট দিতে এসেছিলেন চুমাগরের ২৫ নম্বর বুথে। আচমকাই সেই বুথে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বিএসএফ জওয়ানরা। সেই গুলি এসে লাগে হাসিবুলের কাঁধে। আহত যুবককে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কিসানগঞ্জ মেডিক্যালে। শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়া হাসিবুলকে নিয়ে যাওয়া হয় বিহারের পূর্ণিয়ায়। শনিবার রাতে ঘটনার কথা স্বীকার করা হয় জেলা প্রশাসন থেকে।
এদিকে, ভোট মিটলেও অশান্তির বিরাম নেই। গতকাল সন্ধায় বাসন্তীর জ্যোতিষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধারানীপুর গ্রামে আরএসপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। আহত হন ১০ জন। তাদের মধ্যে মারাত্মক আহত হন আজাদ লস্কর নামে এক ব্যক্তি। তাঁর চোখ মুখে চোট লাগে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাসন্তী গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হয় কলকাতায়। তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে।
এলাকার বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন জ্যোতিষপুরে অতর্কিতে আমাদের তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা চালায় বামপন্থী দুষ্কৃতীরা। ওই হামলায় ১০ তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হন আজাদ লস্কর। ক্যানিং হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেথান থেকে তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।
অন্যদিকে, ওই ঘটনা নিয়ে আরএসপি নেতা সুভাষ নস্কর বলেন, ওদের যিনি বিধায়ক আছেন তিনি বরাবরই মুখস্তবিদ্যে বলে যান। গোলমাল হলেই বলেন, আরএসপি-সিপিএম করেছে। ওদের দুটো গোষ্ঠীর মধ্যে যে এত মারামারি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তা একবারও বলেন না। রাধারানীপুরের যে ঘটনা নিয়ে আপনারা বলছেন সেটা হল ওই ব্যক্তি আমরাও পরিচিত। মারামারি, সংঘর্ষ একটা হয়েছে। ভেতরে ঢুকে তদন্ত করুক পুলিস। জানুক এর পেছনে কতটা আরএসপি রয়েছে, কতটা ওদের বি টিম রয়েছে।