পড়শির স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে খুন যুবক, সপ্তাহ দুয়েক পর বাড়ির ভিতর থেকে মিলল পচাগলা দেহ
দিন ১৪-১৫ আগে রাতে উৎপল বাগদি তাঁর স্ত্রীকে মারধর করছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বসতবাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের নলিকাটা পচাগলা মৃতদেহ। মৃতের নাম কেষ্ট বাগদি। বয়স আনুমানিক ২৬ বছর। খুনের ঘটনায় মৃতের পরিজন প্রতিবেশী উৎপল বাগদীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। তাঁদের অভিযোগ কেষ্টকে খুন করে বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলেন উৎপল বাগদী । ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বধমানের গলসি ১ নম্বর ব্লকের উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েতের কুতরুকী গ্রামে।
জানা গিয়েছে, দিন ১৪-১৫ আগে রাতে উৎপল বাগদি তাঁর স্ত্রীকে মারধর করছিলেন। ওই সময় প্রতিবেশী কেষ্ট বাগদি উৎপলের স্ত্রীকে ছাড়াতে যান। অভিযোগ, তারপর থেকে আর কেষ্টর কোনও হদিশ পায়নি বাড়ির লোকজন। তখন থেকে আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি বহু খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের লোকেরা। এরপর গতকালই নিখোঁজ ডায়েরি করেন কেষ্টর স্ত্রী। তারপর আজ বিকালে পুনরায় বাদল হাজরাকে বাড়ির কাছে মারধর করছিলেন উৎপল।
তখন প্রতিবেশীরা তাঁকে বাঁচাতে এলে উৎপল বাগদির বাড়ির কাছে এসে পচা গন্ধ পান। এরপরই তাঁরা উৎপল বাগদিকে ঘিরে ধরেন। খবর দেওয়া হয় গলসি থানায়। পুলিস এসে বাড়ির ভিতর থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় উৎপল বাগদীকে গ্রেফতার করছে পুলিস। এদিকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে উৎপলের বাড়ির লোকজন। অন্যদিকে জামাকাপড় ও বাম হাতের তিনটি আঙুলে কাটা দেখে উদ্ধার হওয়া দেহ কেষ্ট বাগদির বলে শনাক্ত করেন পরিবারের লোকেরা।
আরও পড়ুন, করোনার কোপে অনাড়ম্বরেই ১৫ অগাস্ট, সম্মানিত করা হবে ২৫ জন কোভিড যোদ্ধাকে