ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন যুবক, নৈহাটির বদলে কাঁকিনাড়ায় নামতেই পরিণতি হল মর্মান্তিক!
ছিনতাই বাধা দেন বিশ্বজিৎ। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় তাঁর। এরপরই বোমাবাজি শুরু করে দুষ্কৃতীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : জিআরপির নাগের ডগায় কাঁকিনাড়া স্টেশনে বোমবাজিতে মৃত্যু ট্রেনযাত্রীর। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস। বয়স ৩৫ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে। জানা যাচ্ছে, ছিনতাইয়ে বাধা পেয়েই বোমাবাজি শুরু করে দুষ্কৃতীরা। আর তাতেই মৃত্যু হয় ওই যাত্রীর।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার মাঝদিয়ার ভীমপুরের বাসিন্দা ছিলেন নিহত বিশ্বজিৎ। নৈহাটি যাওয়ার জন্য শিয়ালদাগামী মুজফফরপুর এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়ায় আর নৈহাটি নামতে পারেননি। কাঁকিনাড়া স্টেশনে নামেন। রাতের অন্ধকারে কাঁকিনাড়া স্টেশনে নামতেই ঘটে এই ঘটনা।
৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিলেন বসেছিলেন বিশ্বজিৎ। পুলিস জানিয়েছে, তাঁর সঙ্গে থাকা টাকা ও সামগ্রী ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে ৩ দুষ্কৃতী। বাধা দেন বিশ্বজিৎ। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় তাঁর। এরপরই বোমাবাজি শুরু করে দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যাত্রীর। এই ঘটনায় আতঙ্কিত ট্রেন যাত্রীরা।
জিআরপি অফিসের নাকের ডগায় যদি এমন ঘটনা ঘটে,তাহলে তাদের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশ্ন তুলেছে ট্রেনযাত্রীরা। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগে অবরোধের সময় যাত্রীবোঝাই ট্রেনে বোমা ছুঁড়েছিল দুষ্কৃতীরা। তারপর ফের এই ঘটনা। কাকিনাড়া স্টেশনে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্নচিহ্নের মুখে রেল প্রশাসন।
এদিন সকালে ঘটনাস্থলে যান এসআরপি শিয়ালদা। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, বিশ্বজিতের সঙ্গে থাকা ১ লাখ টাকা খোওয়া গিয়েছে। তাহলে কি তাঁর কাছে থাকা টাকার খবর আগাম ছিল দুষ্কৃতীদের কাছে? সেকারণেই তাঁকে টার্গেট করা হয়? সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে নিহত যুবকের সঙ্গে থাকা এক যুবককেও। কেশব কুমার নামে ওই যুবক বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে বিহার থেকে ফিরছিলেন।
আরও পড়ুন, চুরি করতে এসে গুছিয়ে রান্নাবান্না করে খেল চোরের দল! তারপর বাড়ি 'ফাঁকা' করে চম্পট
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ ঝাড়খণ্ডে হাতুড়ে চিকিৎসা করতেন। বাড়িতে দাদা আত্মহত্যা করার খবর পেয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাবা আন্দামানে কাজ করেন। বাড়িতে শুধু মা আর দাদা-ই থাকতেন। মুজফ্ফরপুর এক্সপ্রেসে নৈহাটি নেমে, গেদে লোকাল ধরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর।