অবসাদের জেরে মৃত্যু! স্থানীয়দের দাবি, আত্মহত্যা
দেহ উদ্ধার করে বালুরঘাট হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনের 'অভিশাপ' যেন তাড়া করে ফিরছে কাউকে না কাউকে। প্রথমে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়া এবং তা থেকে মৃত্যু আগেও ঘটেছে। আবারও ঘটল।
লকডাউনে কাজ হারিয়ে মানসিক অবসাদগ্রস্ত এবং তার জেরে মৃত্যুর ঘটনা আগেও ঘটেছে। এবারের ঘটনাটি বালুরঘাট শহরের সংকেতপাড়া এলাকার। অবসাদগ্রস্তের কাজ হারায়নি, তবে লকডাউনে কাজ না থাকায় নেই রোজগারও। স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন রোজগার না থাকায় অবসাদগ্রস্ত ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। পুলিস খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে পথে নামল না কোনও বেসরকারি বাস
মৃতের নাম পিন্টু দাস (৫১)। তিনি বালুরঘাট কোর্টে মুহুরির কাজ করতেন। তাঁর পরিবারসূত্রে জানা গেছে, পিন্টুর বড় মেয়ে অসুস্থ ছিলেন। কিছুদিন আগেই তাঁকে বেঙ্গালুরু থেকে চিকিৎসা করিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। সেখানে বিস্তর খরচপত্রও হয়েছে। এদিকে দীর্ঘ লকডাউনের (Lockdown) কারণে কোর্টের কাজকর্মও দীর্ঘদিন বন্ধ। ফলে আর্থিক অনটন এই পরিবারের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠছিল। উপার্জনের অন্য কোনও রাস্তাও তাঁর ছিল না। সব মিলিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর শোওয়ার ঘরেই তাঁকে মৃত আবিষ্কার করেন তাঁর পরিবারের লোকজন। পুলিস দেহ উদ্ধার করে বালুরঘাট (Balurghat) হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
শোকের ছায়া নেমেছে বালুরঘাট আদালতের মুহুরি-মহলে। তাঁদের দাবি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অসংগঠিত ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের কথা কোনও দিনই কেউ ভাবেনি। এই না ভাবার কারণেই এরকম ঘটনা ঘটেই চলেছে। লকডাউন যদি চলতে থাকে তা হলে এরকম ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন মুহুরিরা।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পড়ুন: এবার মুর্শিদাবাদেও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বয়ান রেকর্ড শ'খানেক ব্যক্তির