Minakhan: পিকনিক থেকে ফেরার পথে দুই দলের গন্ডগোল; গাড়ি থেকে টেনে এনে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ মিনাখাঁয়
এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় ২ জনকে ধর্ষণ ও ৪ জনকে গাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিস
নিজস্ব প্রতিবেদন: পিকনিক করে ফেরার পথে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয়। ওই ঘটনায় ২ জনকে ধর্ষণের অভিযোগ ও ৪ জনকে গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত রাতে টাকি থেকে পিকনিক করে গাড়িতে ফিরছিল ভাঙড়ের একটি দল। মিনাখাঁয় অন্য একটি পিকনিক পার্টির গাড়ির সঙ্গে ওই গাড়িটির ধাক্কা লাগে। তা নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়ে দুই দল। মিনাখাঁর ওই পিকনিক পার্টির লোকজনের হাতে মার খেয়ে ভাঙড় থেকে আসা লোকজন গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। সেই সুযোগে গাড়িতে থাকা এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনায় ২ জনকে ধর্ষণ ও ৪ জনকে গাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে মিনাখাঁ থানার পুলিস। তাদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের আজ বসিরহাট আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
এদিকে, ওই ঘটনা নিয়ে বসিরহাটের এসপি জোবি থমাস জানিয়েছেন, দুই দলে ঝামেলা হওয়ার পর ভাঙড়ের পিকনিক পার্টির লোকজনের গাড়িকে তাড়া করে ধরা হয় ঘটকপুকুরের কাছাকাছি। তারপর টাটা ৪০৭ গাড়িতে থাকা ৩০-৩২ জনকে ব্যাপক মারধর করে অভিযুক্তরা। ওই পিকনিক পার্টির লোকজন মারধর খেয়ে পালিয়ে যায়। এদের মধ্যে এক মহিলা ও একজন ইলেকট্রিসিয়ান গাড়িতে আটকে পড়েন। ওই মহিলার বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্ত দুজন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় রাতভর অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের খোঁজ চলছে।
ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আপানাদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম। কলকাতা থেকে অনেকটা দূরে রয়েছি। কিছু মানুষ অসম্ভব দুঃসাহসিক হয়ে গিয়েছে। তারা মনে করে আইনের উপরে তারা। তবে গোটা বিষয়টি আমার কাছে এখনও স্পষ্ট নয়। এনিয়ে খোঁজখবর নেব। পুলিসের কাছে রিপোর্ট করা হয়েছে। তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। সোমবার বিষয়টা আমরা জানতে পারব। কাল এনিয়ে সুয়ো মোটো করব। নির্যাতিতা যদি কথা বলতে চান তাহলে তাঁর সঙ্গেও কথা বলব। তাঁর কাছ থেকেই সবটা জানব।
আরও পড়ুন-সোমবার থেকে বন্ধ স্কুল-কলেজ; সন্ধে ৭টার পর চলবে না লোকাল ট্রেন, রাজ্যে জারি একাধিক বিধিনিষেধ
ঘটনা নিয়ে বিশিষ্ট সমাজকর্মী বোলান গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কীভাবে এমনটা সম্ভব হল তা আমার কাছে বোধগম্য হচ্ছে না। যা সংবাদমাধ্যমে শুনছি তা যদি সত্যি হয় তাহলে তো ভয়ঙ্কর ঘটনা। এরা কোনও ক্রিমিন্যাল নয়, সাধারণ পিকনিক করতে যাওয়া লোকজন। এরা যদি কাউকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য ধর্ষণ করে থাকে তাহলে এর থেকে ভয়াবহ ঘটনা আর নেই। আইনশৃঙ্খলার কথা বলব। তবে মানুষের মনে, চিন্তাধারায় একটা বিকার এসে গিয়েছে। একজনকে শিক্ষা দিতে হবে বলে তার বাড়ির মহিলাকে ধর্ষণ করতে হবে এমন একটা মানসিকতা চারিয়ে যাচ্ছে। ভয়ঙ্কর একটা মানসিকতা তৈরি হচ্ছে।